নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: প্রথা ভেঙেই এবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসছে খানিক দেরিতে। বুধবার অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অধিবেশন, যা সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হয়ে থাকে। বিরোধী রাজনৈতিক মহলের দাবি, গুজরাট ভোটের (Gujarat Assembly Election) কারণেই এতটা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বুধবার অধিবেশন শুরুর আগে মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠক হয়ে গেল দিল্লিতে। আর সেখানে বিরোধীদের বাক স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করল তৃণমূলের সংসদীয় দল। তবে বৈঠকে নিজের বক্তব্য পেশ করেই সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সূত্রের খবর, তিনি আহমেদাবাদ যাচ্ছেন। সেখানে রয়েছেন দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। তাঁকে সোমবার রাতে জয়পুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট পুলিশ। তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্যই আইনজীবীদের নিয়ে ডেরেকের আহমেদাবাদ যাত্রা বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে রয়েছে প্রতিনিধিদল।
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বাংলার মতো বিরোধী সরকারে স্থিতিশীলতা-সহ একগুচ্ছ বিষয় তুলে ধরেন তৃণমূল-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। তৃণমূলের তরফে ছিলেন সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Bandopadhay), রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien)। তাঁদের মূল বক্তব্য ছিল, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগানোর মতো বিষয়গুলিতে যথাযথ আলোচনা প্রয়োজন। বিলগুলি স্ট্যান্ডিং কমিটি বা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার অনুমোদন দেওয়া হোক সংসদে। সর্বোপরি তাঁদের দাবি, বিরোধীদের বলতে দেওয়া হোক, যা অধিবেশন চলাকালীন প্রায়ই ব্যাহত হচ্ছে। ডেরেকের বক্তব্য, ”সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠ যেন শোনা যায়, বিরোধীদের বলার অনুমতি দিন।”
[আরও পড়ুন: OMR শিটে শূন্য, SSC’র তালিকায় ৫৩! ‘ভূতের কাজ নয়’, কড়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
এদিন নিজের বক্তব্য রেখেই সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন ডেরেক। সেখানে দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। সাকেত গোখলের গ্রেপ্তারি নিয়ে ইতিমধ্য়েই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ”সাকেতের পাশে দল আছে। তৃণমূলকে সর্বভারতীয় স্তরে যে বিজেপি ভয় পাচ্ছে, তার প্রমাণ এটা।”
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা! মাঝরাতে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করল গুজরাট পুলিশ]
এরপর ৭ তারিখ সাংসদ সৌগত রায়ের বাসভবনে তৃণমূল সংসদীয় দলের। থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্থির হবে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের রণকৌশল কী হবে। কোন কোন ইস্যুতে সরকারপক্ষের উপর চাপ তৈরি করবে ঘাসফুল শিবির।