ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে চারটিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। তবে এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আরও একবার উসকে গিয়েছে চার নব্য বিধায়কের শপথ নিয়ে জটিলতার প্রশ্ন। এবার যাতে কোনওভাবেই এ নিয়ে আর গড়িমসি না হয় তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি রাখছে বিধানসভা। জানা যাচ্ছে, চার নতুন বিধায়কের জয়ের বিজ্ঞপ্তি নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশের পর আগামী সপ্তাহেই তাঁদের শপথ পড়ানোর প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেবে পরিষদীয় দপ্তর।
চিঠিতে রাজ্যপালকে অনুরোধ করা হবে বিধানসভায় এসে তিনি নিজে শপথ পড়ান, অথবা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই দায়িত্ব দিন। রাজ্যপাল সে ক্ষেত্রে কোনও ইতিবাচক সাড়া না দিলে বিধানসভায় অধিবেশন ডেকে সেই শপথ পড়িয়ে দেবেন অধ্যক্ষই। অধ্যক্ষই যে এক্ষেত্রে শেষ কথা তা উল্লেখ করে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "গোটা দেশে এটাই রীতি। রাজ্যপাল অধ্যক্ষকেই নতুন বিধায়কদের শপথ পড়ানোর দায়িত্ব দেন।" পরে অধ্যক্ষ বলেন, "পরিষদীয় দপ্তরের চিঠির পর রাজ্যপাল কী জানান, তার উপরই নির্ভর করছে এই চারজনের শপথ। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোই যায়।"
[আরও পড়ুন: ফলপ্রকাশের দিনেই ইসলামপুরে শ্যুট আউট, মৃত তৃণমূল নেতা]
আগামী ২২ জুলাই বিধানসভার বাদল অধিবেশন বসতে পারে। তার জন্য শনিবারই তৃণমূল পরিষদীয় দলের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধিবেশন বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে রাজভবনের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেলে এই বাদল অধিবেশনেই চার বিধায়কের শপথ পর্ব সেরে ফেলতে পারেন অধ্যক্ষ। সেক্ষেত্রে কড়া অবস্থানই বজায় রাখবে বিধানসভা। দস্তুর হল, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী হয় রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়াবেন, অথবা পরিষদীয় রীতি মেনে অধ্যক্ষকে সেই দায়িত্ব দেবেন। নজর থাকবে রাজ্যপাালের পদক্ষেপে।