সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়!’ আটের দশকের শেষদিকে তখন গোটা দেশ উত্তাল রাম জন্মভূমি (Ram Janmabhoomi) আন্দোলনকে ঘিরে। সেইসময় করসেবকদের মুখে মুখে ফিরত এই স্লোগান। পরে তা অ্যাজেন্ডার রূপ নেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Visva Hindu Parishad)। গত ৫ আগস্ট এই অ্যাজেন্ডার একটা অংশ পূর্ণতা লাভ করেছে রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর মধ্য দিয়ে। এবার কাশী-মথুরাকে ‘মুক্ত’ করতে চায় হিন্দুত্ববাদীরা। ভারতের সাধু-সন্তদের সর্বোচ্চ সংগঠন অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ (ABAP) ঘোষণা করেছে, এবার কাশী-মথুরায় সনাতন ধর্মের ধ্বজা প্রতিষ্ঠা করা হবে। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আন্দোলন শুরু করার জন্য সাধু-সন্তরা শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছে পরিষদ।
সম্প্রতি, মথুরাকে ‘মুক্ত’ করতে কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট গঠন করেছে দেশের ১৪টি রাজ্যের ৮০ জন শীর্ষ সাধু। আখাড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত নরেন্দ্র গিরি জানিয়েছেন, “বহু লড়াই ও দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফসল হল রাম মন্দিরের ভূমিপুজো ও শিলান্যাস। সমস্ত হিন্দু সমাজের জন্য এ এক গর্বের মুহূর্ত। অযোধ্যা এতদিন ‘রাহুমুক্ত’ হল। এবার আমরা কাশী-মথুরাতে সনাতন ধর্মের ধ্বজা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দুই পবিত্র ধর্মীয়স্থলকে মুক্ত করতে হবে।” কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা বিনয় কাটিহার মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি ও সমস্ত হিন্দু সংগঠনগুলি এবার রাম মন্দিরের পর কাশী-মথুরা নিয়ে আন্দোলন শুরু করবে।
[আরও পড়ুন: ‘জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠায় খুশি হয়েছি’, বললেন মোদি]
উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির দাবি অনুযায়ী, ১৬৬৯ সালে কাশীর একটি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব জ্ঞানবাপী মসজিদ বানিয়েছিলেন। ওই মন্দিরের সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের যোগ ছিল বলে জানা যায়। একইসঙ্গে মথুরাতে শাহী ইদগায় আগে মন্দির ছিল বলে দাবি কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টের। ইদগা সংলগ্ন সাড়ে চার একর জমিতে সনাতন ধর্মের স্থাপত্য ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ বানাতে চায় ট্রাস্ট।
The post এবার কাশী-মথুরা ‘মুক্ত’ করতে হবে, আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক আখাড়া পরিষদের appeared first on Sangbad Pratidin.