নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সত্যাগ্রহে’র পর রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। রাজধানীর বুকে কেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে প্রাে মারার চেষ্টা করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রাজঘাট চত্বরে সবসময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তার উপর আজ গান্ধী জয়ন্তী। সেখানে ভিভিআইপিরা যাতায়াত করছেন। তাই নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। এদিন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে সেখানেই সত্য়াগ্রহ ছিল তৃণমূলের। তবে রাজঘাট থেকে সময়ের আগেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বের করে দেয় দিল্লি পুলিশ। তখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদরা সেখানে ছিলেন। কিন্তু জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য তাঁদের ৫ মিনিট সময় বেঁধে দেয় পুলিশ। যা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘বাংলাকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্রের সব সরকারই’, দিল্লিতে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকেও নিশানা অভিষেকের!]
রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে, হুইসেল বাজিয়ে তাঁদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশের ‘উৎপাতে’ মাঝপথেই সাংবাদিক সম্মেলন থামিয়ে দিতে হয় অভিষেককে। এর পরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন সুদীপ। কিন্তু কে বা কারা, কেন অভিষেককে প্রাণে মারার চেষ্টা করল, তা নিয়ে কিছু জানাননি সুদীপ। এদিকে ধরনায় ফোন খোয়ান সাংসদ শান্তনু সেন, শতাব্দি রায়। রাজঘাট থেকে তৃণমূলের সাংসদ বিধায়করা যান বিজয়ঘাটে। সেখানে জুতো হারান রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। রাস্তা হারিয়েছেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানিও।
সকালে রাজঘাটে ধরনার শুরুতেই কর্তৃপক্ষের তরফে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার না আনার অনুরোধও করা হয়েছিল। পালটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই এখানে অবস্থান করছি। যাওয়ার সময় সমস্ত প্ল্যাকার্ড, পোস্টার সরিয়ে জায়গা পরিস্কার করে দেওয়া হবে।” তার পরেও কেন পুলিশ তাদের উঠিয়ে দিল, কেন লাঠি উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।