সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সংক্ষেপে এআই (AI)। বাংলা করলে যা দাঁড়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বহু বিজ্ঞানীই বলেছেন, পরমাণু বোমা কিংবা অন্য কিছুই নয়, সভ্যতার সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। শেষপর্যন্ত তেমন কিছু হবে কিনা তা সময় বলবে। আপাতত প্রযুক্তির এই নয়া উদ্ভাবনকে ঘিরে সবচেয়ে বড় ভয়, সে বহু মানুষের চাকরি খাবে। এবার এমনই কথা শোনা গেল এইচসিএলের প্রাক্তন সিইও বিনীত নায়ারের মুখে। তাঁর পরিষ্কার দাবি, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব ফেলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যার ফলে অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ছাড়াই কাজ চালিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”অটোমেশনের ধাক্কায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো ৭০ শতাংশ কম লোকের সাহায্যে একই পরিমাণ কাজ চালিয়ে দিতে পারবে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমার শরীর নিয়ে খেলা করেছে!’, আদিল ফের বিয়ে করতেই গর্জে উঠলেন রাখি]
কীভাবে সম্ভব হবে তা। বিনীতের ব্যাখ্যা, যেহেতু এআই টুলগুলো প্রায় মানুষের সমকক্ষ হয়ে উঠেছে তাই তা আগামিদিনে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোর জন্য চাপ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। আর তার ফলে সংস্থাগুলো বাধ্য হবে বহু মানুষকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর মত, সেই পরিস্থিতির শিকার হয়ে সংস্থাগুলো যদি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটে তা মোটেই ‘নৈতিক’ হবে না। আর তা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তির জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
তাঁর কথায়, ”অভিজ্ঞ কর্মরতদের সরিয়ে নতুন স্নাতকদের কম বেতনে চাকরি দেওয়াটা অনৈতিক কাজ হবে।” বরং বর্তমান কর্মীদের প্রশিক্ষিত করা ও তাঁদেরই বহাল রাখা যে সংস্থাগুলোর জন্য বেশি স্বাস্থ্যকর হবে, সেই দাবিই করেন অভিজ্ঞ বিনীত।