টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সামনেই বিয়ের মরসুম। হরেক শাড়িতে সাজবে বঙ্গ নারী। হ্যান্ডলুম থেকে বেনারসী, পিওর সিল্ক থেকে সিফন উঠবে অঙ্গে। তবে এবার কিন্তু ফ্যাশনে ইন অন্য এক শাড়ি। সরকারি তথ্য বলছে ফের বাজার কাঁপাচ্ছে বালুচরি।
চলতি বছর সরকারি অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদপ্তর অর্থাৎ এমএসএমই-র বিপণনগুলিতে ১ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করেছে বালুচরি শাড়ি। এমনই দাবি বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ারের। গত শনিবার বাঁকুড়া শহরের এডওয়ার্ড হলে আয়োজিত হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় এসে জেলাশাসক বলেন, “বাংলায় বালুচরি শাড়ির ভাল ভবিষ্যৎ রয়েছে। রাজ্যের সরকারি বিপণনগুলিতে ইতিমধ্যেই বছরে এক কোটি টাকার বেশি এই শাড়ির বিক্রিবাটা হয়েছে।” ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাঁকুড়ার বালুচরি শাড়ি ১ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ধুঁকতে থাকা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি যাতে ফের ঘুরে দাঁড়াতে পারে তার জন্য রাজ্যের তরফে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অসমে ভয়াবহ ডেঙ্গু, ডিফুতে স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের]
পাশাপাশি বালুচরি শাড়ির বয়ন শৈলীতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চালাচ্ছে বাঁকুড়া জেলা হ্যান্ডলুম ডেভলপমেন্ট দপ্তর। এছাড়া ডিজাইন সেন্টারে নতুন-নতুন ডিজাইন তৈরি করার কাজও চলছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে একাধিকবার বিষ্ণুপুরের বালুচরি শিল্পীদের কাছে সরাসরি শাড়ি কিনেছে মঞ্জুষা এবং তন্তুজর মতো হস্তশিল্প বিপণন সংস্থাগুলি। এছাড়া একাধিক হস্তশিল্প মেলারও আয়োজন হয়েছে। ওই মেলাগুলিতেও প্রচুর সংখ্যায় বালুচরি শাড়ি বিক্রি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুধু যৌনতা নয়, পুরুষসঙ্গী কিন্তু আপনার থেকে চান আরও অনেক কিছু]
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপকুমার দত্ত বলেন, “বালুচরি শাড়ির প্রচার আর প্রসারের জন্য বিশেষ প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। তাতেই এই বালুচরি শাড়ির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে মানুষের।”