অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: এবার পাখির টানে পর্যটকদের উত্তরবঙ্গমুখী করে তোলার প্রচেষ্টা রাজ্য পর্যটন দপ্তরের। তাই ‘উত্তরবঙ্গ পাখি উৎসব’-এর (North Bengal Birds Festival) আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই উৎসব শুরু হয়েছে, চলবে মার্চের ১০ তারিখ পর্যন্ত। এই উৎসবে চার দেশের ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের বিভিন্ন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে রকমারি পাখি (Birds) দেখানো হবে। আর এই পদ্ধতিতেই পর্যটকদের উত্তরবঙ্গে আরও বেশি করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা পর্যটন দপ্তরের।
জঙ্গলে ঘেরা উত্তরবঙ্গে (North Bengal) প্রায় ৭৫০ রকমের পাখি রয়েছে। দোয়েল, কোয়েল, ময়না, ঈগল, পাল্লাস ফিশ ঈগল, শিকরা, ফিনের তাঁতি, পাইড হর্ন বিল-সহ আরও অনেক রকমের পাখি দেখা যায় এখানে। উত্তরে পর্যটকরা (Tourists)এলেও তাঁরা এ ব্যাপারে বেশি কিছু জানেন না। পাহাড় কিংবা জঙ্গল ঘুরেই তাঁরা ফিরে যান। পাখি দেখার আগ্রহ কেউ দেখায় না। কিন্তু গোটা দেশে ১২৭০রকমের পাখি রয়েছে, তার মধ্যেই উত্তরেই রয়েছে ৭৫০ রকম। তাই এই পাখিকে কেন্দ্র করেই এবার পর্যটনকে আরও ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত পর্যটন দপ্তর।
গত ২ বছর ধরে এই উৎসব করে আসছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর (Tourism Department)। প্রথম দু’বছর একটু ছোট করে হলেও এবার বৃহৎ আকারে তা করা হচ্ছে। পাখি উৎসবে উপস্থিত রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা। শুক্রবারই তাঁরা চলে এসেছেন শিলিগুড়িতে (Siliguri)। শনিবার তাঁদের নিয়ে ডুয়ার্সে যাওয়া হবে। রবিবার ও সোমবার প্রতিনিধি দলকে নিয়ে চিলাপাতা ও কোদালবসতির জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হবে পাখি দেখানোর জন্য। এরপর ভুটান সীমান্তের বক্সা পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান]
মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার তাদের সেখানেই পাখি দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাখিরা কীভাবে থাকে, কী খায় – সেসব বিষয়েও তাদের জানানো হবে। রাজাভাতখাওয়াতে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। এ প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের ইকো ট্যুরিজম (Eco Tourism)বিভাগের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “রাজ্য সরকার চায় উত্তরের পাখিদেরও দেশে বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের এখানে পর্যটকরা পাহাড় কিংবা জঙ্গল দেখতেই আসে। আমরা চাই পর্যটকরা পাখির টানেও এখানে আসুক। তাঁরা জঙ্গলে গিয়ে পাখি দেখুক। কারণ, উত্তরে যত রকমের পাখি রয়েছে অন্য কোথাও তা নেই।” অন্যদিকে, রাজ্য পর্যটন দফতরের সহকারী অধিকর্তা জ্যোতি ঘোষ বলেন, “আমরা চাই পর্যটনের উন্নতি। তাই এই উৎসব করা হচ্ছে। আশা করি আমাদের এই পদক্ষেপ সফল হবে।”