জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নীলচাষের করুণ কাহিনীর ইতিহাস বনগাঁর মোল্লাহাটি গ্রাম আজও বহন করে চলেছে। দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকে নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনী ফুটে উঠেছিল। নীলচাষ থেকে ইংরেজদের অত্যাচারের কাহিনী বনগাঁর মোল্লাহাটির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সেই ইতিহাস ঘুরে দেখতে বহু পর্যটক ভিড় করে। এবার সেই মোল্লাহাটিতে সাধারণ মানুষের জন্য ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার।
সোমবার মোল্লাহাটিতে ইকো ট্যুরিজম পার্কের শিলান্যাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি জানান, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামীতে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা অর্থ ব্যয় করে কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
[আরও পড়ুন: টেরাকোটার মন্দিরে রাম-রাবণের যুদ্ধ! কলকাতা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টা দূরেই আছে এই স্থান]
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে খবর, নীলচাষে ব্যবহৃত চৌবাচ্চার ধ্বংসাবশেষ ও প্রাচীন পিলার-প্রাচীরগুলো নতুন করে সংরক্ষণ করা হবে। কয়েক বিঘা জায়গার উপর থাকবে পিকনিক স্পট। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ মোল্লাহাটিতে এসে ভিড় করে। সেখানে ঘুরতে এসে থাকার জায়গার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় মানুষদের। তাই এখানে থাকবে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও। এর ফলে এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। হবে কর্মসংস্থানও।
ইকো ট্যুরিজম পার্কের শিলান্যাসের খবরে খুশি পর্যটকেরা। বুধবার শিক্ষক সুদীপ্ত রায় বলেন, “এতে সুবিধা হল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েও ওই এলাকায় শিক্ষামূলক ভ্রমণ করা যাবে এবার।” এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, মোল্লাহাটিতে বেশিরভাগই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। তাঁরা আর্থিকভাবে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। ইকো ট্যুরিজম পার্ক হলে এলাকার মানুষের আর্থিক উন্নয়ন ঘটবে।