সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রেতাকে মানসিক ভাবে হেনস্তা করার জের। শাস্তির মুখে ফ্লিপকার্ট। জনপ্রিয় ই-কমার্স সংস্থাকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন।
বিষয়টা ঠিক কী? আসলে ২০২২ সালের ১০ জুলাই অনলাইনে আইফোন অর্ডার করেন মুম্বইয়ের দাদারের এক তরুণ। যার জন্য দাম বাবদ নিজের ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রায় ৩৯,৬২৮ হাজার টাকা দেন তিনি। বলা হয়েছিল, অর্ডার করার দিন দুয়েক পরই ব্র্যান্ড নিউ ফোনটি হাতে পৌঁছে যাবে তাঁর। কিন্তু তেমনটা হয়নি। প্রায় ছ’দিন পর আচমকাই নিজে থেকে অর্ডারটি বাতিল হয়ে যায়। কেন এমনটা ঘটল, বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। অথচ ইতিমধ্যেই টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁর!
[আরও পড়ুন: একা বিজেপিই ৭,০০০ কোটি! সব বিরোধী মিলিয়ে ৬২০০ কোটি, প্রকাশ্যে নির্বাচনী বন্ডের আয়]
সমাধানের পথ খুঁজতে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার প্রায় দুবছর পর মিলল সুবিচার।
গত মাসে আইফোনের দাম বাবদ গোটা টাকা ফেরত পান ওই ক্রেতার। তবে শুধুই টাকা ফেরত নয়, এবার পেলেন ক্ষতিপূরণও। কারণ কমিশনের দাবি, অনলাইন জালিয়াতি এবং ক্রেতাকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। আর সেই জন্যই ফ্লিপকার্টকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কমিশন। স্বাভাবিক ভাবেই এমন ঘটনায় মুখ পুড়ল জনপ্রিয় শপিং সাইটটির।
যদিও এহেন অভিযোগের পালটা ফ্লিপকার্ট জানিয়েছিল, তাদের এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বহু থার্ড পার্টি বিক্রেতা পণ্য বিক্রি করে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। ফলে এই লেনদেনের মধ্যে ফ্লিপকার্টের কোনও ভূমিকা নেই। তাছাড়া বিক্রেতার তরফে ডেলিভারির জন্য একাধিকবার ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে কোনও সাড়া না পাওয়ার জন্যই অর্ডার বাতিল করা হয়। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতার লড়াইয়ে শেষমেশ ক্রেতাই শেষ হাসি হাসলেন।