সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কলকাতার কাছেই শহরতলিতে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানোর নতুন ঠিকানা ‘প্রকৃতির পাঠশালা।’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে কাঠ দিয়ে তৈরি হয়েছে গাছের আকৃতির নতুন পাঁচটি ঘর। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রি হাউস’ বা ‘গাছবাড়ি।’ গাছগাছালিতে মোড়া মনোরম পরিবেশে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো যেতেই পারে দু’টো দিন।
[আরও পড়ুন: আজ থেকে রাজ্যে লু সতর্কতা, সুস্থ থাকবেন কীভাবে, জেনে নিন চিকিৎসকদের পরামর্শ]
সাতগাছিয়া বিধানসভার গজাপোয়ালির বিশালাক্ষী তলায় সবুজ প্রকৃতির কোলে রকমারি গাছগাছালিতে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে। পাখির কুজনে সে পরিবেশ যেন আরও বেশি মোহময় হয়ে উঠেছে। ইঁট, কাঠ, পাথরে ঘেরা শহর ছাড়িয়ে খুব কাছেই দু’দণ্ড শান্তির খোঁজে ঢুঁ মারতেই পারেন সেই ‘প্রকৃতির পাঠশালায়।’ বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় বিডিওর উদ্যোগে তৈরি ট্রি হাউসের উদ্বোধনও হয়ে গিয়েছে। বাংলা নতুন বছরের গোড়াতেই অনলাইনে বুকিং শুরু হচ্ছে। বুকিং করা যাবে //www.budgebudge2.in/tourism -এ।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বহু বছর ধরে প্রায় আড়াই বিঘা জমি অনাদরে, অবহেলায় পড়ে ছিল। কিছু মানুষ ওই জমি দখলের চেষ্টাও করেছিলেন। সেই জমির সংস্কার করে বিডিও নবকুমার দাসের সহযোগিতায় এবং বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে ওই জমিতেই গড়ে উঠেছে ‘প্রকৃতির পাঠশালা।’ সেখানেই গাছের আদলে তৈরি করা হয়েছে পাঁচটি কাঠের ঘর। যেগুলির নামকরণ করা হয়েছে বাতায়ন, ছুটি, চিত্রা, জোনাকি ও তিতলি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরগুলিতে পর্যটকদের জন্য রাখা হয়েছে সুব্যবস্থা।
[আরও পড়ুন: ‘সময় নষ্ট হচ্ছে, দুর্নীতির মাথা পর্যন্ত পৌঁছনো বাকি’, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তোপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
‘প্রকৃতির পাঠশালায়’ রয়েছে বোটিংয়ের ব্যবস্থা, মুক্তমঞ্চ, প্রজাপতি উদ্যান ও প্রদর্শনশালা, পলিহাউস বা বদ্ধ নার্সারি এবং শিশুদের খেলার জায়গাও। ‘প্রকৃতির পাঠশালায়’ ‘ট্রি হাউস’ বা ‘গাছ বাড়িতে’ রয়েছে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা। পর্যটকদের জন্য ওয়েলকাম ড্রিংকস থেকে শুরু করে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজ-সবকিছুই প্যাকেজ সিস্টেমে পাওয়া যাবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে ক্যান্টিনের দায়িত্ব। ঘরগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য থাকছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
সহ সভাপতি বলেন, “প্রকৃতির পাঠশালা থেকে আয়ের টাকায় পঞ্চায়েত সমিতি এলাকা উন্নয়নের কাজ করবে। পরবর্তীকালে আরও বেশি পর্যটক টানতে প্রকৃতির পাঠশালা নামক জায়গাটির আরও উন্নয়ন করা হবে।” সবমিলিয়ে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের কাছে দারুন আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে চলেছে একসময় ঝোপঝাড়, আগাছায় ভরা ওই এলাকা।