অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: পাহাড়ের চড়াই উতরাইয়ে টয় ট্রেন চড়ে ঘুরতে চান? বেড়ানোর বাজেটের কথা মাথায় রেখে সেই পরিকল্পনা বাতিল করবেন বলে ভাবছেন? তবে আপনার জন্য সুখবর। কারণ, ভাড়া কমল টয় ট্রেনের। করোনা ও ধসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল টয় ট্রেন (Toy Train)। পাশাপাশি ভাড়াও বেশি থাকায় অনেকেই টয় ট্রেন চড়তে চাইছেন না। তাতে বেশ ক্ষতিও হয়েছে রেলের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই টয় ট্রেনের ভাড়া কমাল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ। নিউ জলপাইগুড়ির এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়রওয়ার বলেন, ট্রেন না চলায় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ভাড়া কমানো হল পর্যটক-সহ স্থানীয় লোকজনদের আকর্ষণ বাড়াতে।
কু ঝিক ঝিক করে টয় ট্রেনে চড়ে পাহাড়ে যেতে সকলেই ভালবাসে। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধির কারণে ইচ্ছা থাকলেও টয় ট্রেন চড়তে চাইতনা অনেকেই। তাই রেল এবার ভাড়া কমিয়ে টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিল। আগে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে মাথাপিছু ভাড়া ছিল ১৭২০ টাকা। তা এখন কমিয়ে করা হল ১৫০০ টাকা। আবার প্রথম শ্রেণির কোচের ভাড়া ছিল ১৬০০ টাকা। তা কমিয়ে করা হয়েছে ১৫০০টাকা। শুধু তাই নয় এখন থেকে দার্জিলিং (Darjeeling) পর্যন্ত টয় ট্রেনে দু’টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ ও একটি প্রথম শ্রেণির কোচ থাকবে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনায় রাজি রাশিয়া-ইউক্রেন দু’পক্ষই! কিন্তু কোন শর্তে?]
পাশাপাশি ভাড়া কমানো হচ্ছে জয়রাইডেও। দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে ফের দার্জিলিং স্টেশন পর্যন্ত জয়রাইড খুবই জনপ্রিয় পরিষেবা। আর তাই এই পরিষেবায় আরও চমক আনা হচ্ছে। কারণ এই রাইড বেশ লাভজনক। পাহাড়ে পর্যটক এলেই এই রাইডে চড়বেই। সে কারণে এবার থেকে এই ট্রেনের প্রতিটি কোচ ভিস্তাডোম করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডিসেল ইঞ্জিনে যে জয় রাইড চলে তার ভাড়া কমিয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। আগে ১৫০০ টাকা ছিল। আবার স্টিম ইঞ্জিনে যে জয় রাইড চলে তার ভাড়া আগে ছিল ১৬০০ টাকা। এখন তা হল ১৫০০ টাকা।
এছাড়া টয় ট্রেনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ঘুম ফেস্টিভ্যালের পর এবার সামার ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে রেল। এ বিষয়ে এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়রওয়ার বলেন, “আমরা চাই পর্যটক-সহ সাধারণ মানুষ আরও বেশি করে টয় ট্রেন চড়ুক। আর ভিস্তাডোম কোচ চালু হলে তো প্রত্যেকেই টয় ট্রেন চড়তে চাইবেই। তাই ভাড়া কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হল। এছাড়া আমরা ঘুম ফেস্টিভ্যালে যা সাড়া পেয়েছিলাম সে কারণেই এবার সামার ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হল। আগামী ১ মার্চ শিলিগুড়ি জংশনে এই ফেস্টিভ্যালের সূচনা হবে। জংশন ছাড়াও গোটা মাস ধরে এই ফেস্টিভ্যাল চলবে কার্শিয়াং, ঘুম ও দার্জিলিং স্টেশনে। মূলত স্থানীয় শিল্পীদের সংস্কৃতি তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”