সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারির প্রকোপ বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের (Work From Home) প্রবণতা। দুনিয়াজুড়ে এটাই এখন দস্তুর। ভারতেও ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ব্যস্ত দৈনিক কয়েক কোটি কর্মী। এই কর্মীদের শতকরা ৮০ শতাংশই বেসরকারি কর্মী। কিন্তু ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সংখ্যা যত বেড়েছে ততই বেড়েছে হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য।
Advertisement
অনলাইন কাজ নিয়ে সমীক্ষা চালানো আন্তর্জাতিক গবেষক সংস্থা ক্যাস্পারস্কাই-এর গবেষকদের বক্তব্য, ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর হার বেড়েছে কয়েকগুণ। ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপে হ্যাকারদের (Hackers) হানাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ভারতে এই কারণে ভুগছেন ৩ কোটি ৩০ লক্ষ কর্মী। তাঁরা হ্যাকারদের সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন : বর্ষশেষের উপহার, গ্রাহকদের জন্য এক্সক্লুসিভ প্ল্যান আনল Vi]
যে সব ভারতীয় কর্মীরা বাড়িতে বসে কাজ করছেন, অনেকেই থার্ড পার্টি পরিষেবা ব্যবহার করেছেন। তা ছাড়া অনেক কম্পিউটার ঠিকমতো কনফিগার না করার জন্য, ফায়ারওয়াল বা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করার জন্য হ্যাকারদের সহজ শিকার হচ্ছেন। তাঁদের স্পর্শকাতর তথ্য, নথি, ছবি, ভিডিও চুরি করে পাচার করছে হ্যাকাররা। অনেকে জানতেও পারছেন না যে তাঁদের কম্পিউটারে নিঃশব্দে হ্যাকাররা হানা দিয়ে সব লোপাট করে দিচ্ছে।
এক্ষেত্রে অথেন্টিক অ্যান্টিভাইরাসেও অনেক সময় কাজ হচ্ছে না। সেই সব প্রতিরোধ ভেঙেও হ্যাকাররা ঢুকে পড়ছে অনলাইন থাকা ব্যক্তির সিস্টেমে। অনেক অযাচিত ই-মেল, পপ আপ অ্যাডে ভরে যাচ্ছে ডেস্ক টপ বা ওয়েবসাইটের হোম পেজ। সেগুলোতে ক্লিক করলেই সব কিছু হ্যাক করে নিচ্ছে হ্যাকাররা। তাই ভারতীয় কর্মীদের খুব সাবধানে কাজ করতে এবং পর্যাপ্ত অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব দরকার না হলে কেউ যেন অপ্রয়োজনীয় ই-মেল ও বিজ্ঞাপনে ক্লিক না করেন।