সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রখতে লকডাউন জারি রয়েছে। বাড়ি থেকে বেরনো নিষেধ। তবে মাঝেমধ্যেই অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী কিনতে বাইরে বেরতেই হচ্ছে। তার ফলে বাড়িতে ঢুকছে সবজি এবং মুদিখানা সামগ্রী। কোনওভাবে ওই অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মাধ্যমে জীবাণু বাড়িতে প্রবেশ করছে না তো? বারবার সেই প্রশ্নই আপনার মনেও ঘুরপাক খাচ্ছে নিশ্চয়ই? জানেন কি সামান্য সাবধানতা অবলম্বন করলেই মাছ, মাংস, শাকসবজি-সহ আপনার বাড়ির অত্যাবশ্যকীয় জিনিস হতে পারে জীবাণুমুক্ত। আপনার জন্য রইল টিপস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতের মাধ্যমেই জীবাণু সবচেয়ে তাড়াতাড়ি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই সবচেয়ে আগে হাত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। তাই সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে গ্লাভস পরা যেতে পারে।
গ্লাভস না পরতেই পারেন। তবে কোনওভাবেই ব্যাগের ভিতরে জীবাণু যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তাই ব্যবহার করতে পারেন হ্যান্ডেল দেওয়া প্লাস্টিক ব্যাগ। শুধু তাই যথেষ্ট নয়। কারণ, ব্যাগের হ্যান্ডেলে জীবাণু থেকে যাওয়াও শ্রেয় নয়। তাই ব্যাগের হ্যান্ডেলকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল টিস্যু রাখতে পারেন। বাজার শেষ হয়ে যাওয়ার পর ব্যাগ পরিষ্কার করে আবর্জনা ফেলার জায়গায় ওই টিস্যু ফেলে দিন। তারপর নিজের হাতও স্যানিটাইজার কিংবা সাবানজল দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
[আরও পড়ুন: ‘রাগ করলে করুন’, দোরে খিল এঁটে অতিথিকে দূরে রাখার পোস্টার গৃহবাসীর]
বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পর অবশ্যই ব্যাগটি সাবানজল দিয়ে কেচে ফেলুন। তারপর কমপক্ষে চার ঘণ্টা কড়া রোদে শুকিয়ে নিন।
সবজি কিংবা ফল ফাটা কিংবা দাগওলা হলে নেবেন না। কারণ, ফাটা অংশ দিয়ে ফল কিংবা সবজির ভিতর জীবাণু ঢুকতে পারে। সেভাবে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই ঠিকই। তবে পেটের নানা সমস্যা দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই সাবধানে থাকতে হলে সচেতন ক্রেতার মতো বাজার করুন। মাছ, মাংস বাড়িতে পারলে ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। তাতে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানো যেতে পারে।
শুকনো খাবার কেনার ক্ষেত্রেও একটু সচেতন হোন। ছোট মুদি দোকানের থেকে কাগজের ঠোঙায় ওজন করে ভরা জিনিসের পরিবর্তে কিছুদিন একেবারে প্যাকিং করা জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করুন। দেখবেন, প্যাকিং যেন কাটা কিংবা ছেঁড়া না থাকে।
The post বাইরে থেকে কেনা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এই উপায়ে রাখুন জীবাণুমুক্ত, রইল টিপস appeared first on Sangbad Pratidin.