সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন লেখক মার্ক টোয়াইন, একবার তার একটি লেখায় লিখেছিলেন, ‘ভারত ঘুরে দেখার স্বপ্ন প্রত্যেক মানুষের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে। আর যিনি একবার ভারত দর্শন খুব সামান্য হলেও করেছেন, সেটা তাঁর কাছে সারাজীবনের স্মৃতি। গোটা বিশ্বের সব রূপকেই নিজের মুঠোতে বন্দি করেছে ভারত!’ যাদের পায়ের তলায় সরষে, সেসব মানুষরা লেখকের এই কথার সঙ্গে একেবারেই সহমত পোষণ করবেন। কারণ, ভারত পর্যটকের নানা সময়ই সারপ্রাইজ দিয়ে থাকে। তা মরুভূমি হোক বা পাহাড়, সুমদ্র, ঐতিহাসিক জায়গা, ভারতের ঝুলিতে রয়েছে সব রূপই। কিন্তু জানেন কি, এদেশে এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যা কিনা শুধু বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় নয়, তার বিশ্ব রেকর্ডও রয়েছে।
১) মৌসিনরাম
ছোটবেলা থেকেই বইয়ে পড়ে আসা, মেঘালয়ের ছোট্ট গ্রাম মৌসিনরাম গোটা বিশ্বে বিখ্যাত সবচেয়ে বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাতের জন্য়। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মুগ্ধ করে পর্যটকদের। অনেকে তো মেঘালয়ের এই গ্রামকে মেঘের দেশও বলে বর্ণনা করেন।
২) চেনাব ব্রিজ
জম্মু-কাশ্মীরের চেনাব ব্রিজ গোটা বিশ্বের উঁচুতে অবস্থিত রেলওয়ে সেতু। যা কিনা আইফেল টাওয়ারের থেকেও উঁচু। কাতরা থেকে শ্রীনগরের কাউরি পর্যন্ত বিস্তৃত এই ব্রিজ।
[আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য সুখবর, ফের চালু হল নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা]
৩) হিকিম গ্রাম
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্থানে পোস্ট অফিস রয়েছে এদেশেই। হিমাচল প্রদেশের লাহৌল-স্পিতি জেলার হিকিম গ্রামে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত এই পোস্ট অফিস। সমুদ্রতল থেকে ১৪৫৬৭ ফিটে অবস্থিত এই পোস্ট অফিসটি।
৪) চালি
সমুদ্রতল থেকে ২১৪৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের চালি ক্রিকেট স্টেডিয়াম। গোটা বিশ্বে কোথাও এমন পাহাড়ের কোল ঘেঁষে স্টেডিয়াম দেখতে পাওয়া যায় না।
৫) ভাসমান পোস্ট অফিস
শ্রীনগরে গেলেই দেখতে পাবেন ডাল লেকে ভেসে রয়েছে আস্ত একটা পোস্ট অফিস। গোটা বিশ্বে এমন পোস্ট অফিস কিন্তু দেখতে পাওয়া যায় না। সেই ভাসমান পোস্ট অফিস থেকেই গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে চিঠিপত্র। এমনটি কিন্তু আর কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না।
৬) লোকটক লেক
মণিপুরে রয়েছে লোকটক লেক। এই লেকের বৈশিষ্ট্য়ই হল, এখানে ভাসমান অবস্থাতে রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ। যা দেখলে একেবারে চোখ জুড়িয়ে যাবে।
৭) রুট ব্রিজ
শিলং থেকে ৬০ কিমি দূরে অবস্থিত চেরাপুঞ্জির সোহরাতে রয়েছে গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি একটি লম্বা সেতু। যা কিনা আবার দোতলা। এই ধরনের সেতু বিশ্বের আরও কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। এই ব্রিজে যেতে হলে ৩৬০০ টা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে। যাঁরা ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন তাঁরা খুবই এই ব্রিজ উপভোগ করবেন।