সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। দেশে প্রথম ৫জি (5G) কল করলেন টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এতদিন আইআইটি মাদ্রাজেই চলছিল ট্রায়াল। অবশেষে সেখানেই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম ৫জি অডিও ও ভিডিও দুই কলই করলেন অশ্বিনী।
ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘কু’-তে পোস্ট করে সকলকে একথা জানিয়েছেন তিনি নিজেই। টেলিকম মন্ত্রীকে লিখতে দেখা যায়, ”আইআইটি মাদ্রাজে সফল ভাবে ৫জি কল করা হয়েছে। এই সম্পূর্ণ এন্ড টু এন্ড নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে ভারতেই।”
সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে এভাবে ৫জি প্রযুক্তির সফল প্রয়োগ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুপরিকল্পনারই ফল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, টেলিকম দপ্তর সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই ৫জি স্পেক্ট্রামের নিলাম সংক্রান্ত চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবে।
[আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের আন্দোলনের সাফল্য, পাটের সর্বোচ্চ দাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
এই বছরের মধ্যেই দেশে সাধারণ মানুষের কাছে ৫জি প্রযুক্তিকে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই এই প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। TRAI-এর ২৫ বছর পূর্তিতে অনলাইন এক ভাষণে তিনি দাবি করেন, ৫জি প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে। তাঁর কথায়, ”৫জির ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও লজিস্টিক্সের মতো বহু ক্ষেত্রেরই উন্নতি হবে। এর ফলে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।”
৫জি এলে গ্রাহকদের পরিষেবায় কতটা পরিবর্তন আসবে? মনে করা হচ্ছে, ডেটা ডাউনলোডের গতি বাড়বে ১০ গুণ! স্পেকট্রাম এফিশিয়েন্সি হবে ৩ গুণ বেশি। কিন্তু সেজন্য গাঁট থেকে খসবে মোটা অঙ্কের টাকা। দেশের টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠনের দাবি, সরকার স্পেকট্রামের যে দাম প্রথমে ঠিক করেছিল, সেটা তাঁদের সাধ্যের বাইরে। প্রাথমিকভাবে স্পেকট্রামের দাম ৯০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছিল সংস্থাগুলি। যদিও সরকার তা ৩০-৩৫ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তাতেও আদৌ বেসরকারি সংস্থাগুলি 5G স্পেকট্রাম কিনতে আগ্রহী হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।