জিনিয়া সরকার: ইচ্ছে থাকলেও উত্থিত হচ্ছে না! বিছানার সুখ ফিকে, সহবাসে তিক্ততা দিনে দিনে বাড়ছে? দাম্পত্যে অশান্তির একটা বড় কারণ লিঙ্গ শিথিলতা (Erectile Dysfunction)। শারীরিক এবং মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা রীতিমতো হতাশাজনক। আজকাল যে সমস্যা খুব বেড়েছে। দায়ী ওবেসিটি অর্থাৎ স্থূলতা।
নেপথ্যে ভুঁড়ি?
একটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, যদি ভুঁড়ির আকার একজন স্বাভাবিক গঠন সম্পন্ন পুরুষের চেয়ে চার ইঞ্চি বেড়ে যায়, তবে ৭৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই তাদের রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায় ও যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ওবেসিটির ফলে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরেল বেড়ে গিয়ে শিরায় প্রদাহ তৈরি করে, রক্তনালিগুলি সরু হয়। ফলে ধীরে ধীরে লিঙ্গ শিথিলতা প্রকাশ পায়।
স্বামী মোটা হলে সন্তানধারণে প্রভাব পড়ে ?
নিশ্চয়। রক্তে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট বা শুক্রাণুর সংখ্যা কমতে থাকে। এছাড়া ওবেসিটির কারণে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ থেকেও লিঙ্গ উত্থান হয় না।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার বাংলাদেশি গায়ক নোবেল, এবার কী করলেন বিতর্কিত শিল্পী?]
সমাধান কোন পথে?
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্য শারীরিক সমস্যা ছাড়াও মানসিক চিন্তা বা স্ট্রেস দায়ী। সেক্ষেত্রে সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিং অথবা প্রয়োজনে ওষুধ দরকার।
কারও যদি ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়ে তখন কিন্তু এর আড়ালে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল লুকিয়ে থাকতে পারে।
প্রয়োজনীয় টেস্ট করে রোগ নির্ণয় করতে হবে। হরমোনের মাত্রা কম থাকলে বাইরে থেকে হরমোনের প্রবেশ ঘটিয়ে চিকিৎসা করতে হয় । ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরলের চিকিৎসার পাশাপাশি ওজন কমাতে হবে, ভুঁড়ি ঝরিয়ে ফলতে হবে। ডায়েট, এক্সারসাইজ খুব দরকার। প্রয়োজনে ওজন নিয়ন্ত্রণের ওষুধও দেওয়া হয়। এগুলির সঙ্গে সেক্সুয়াল ডিসফাংশনের যথার্থ চিকিৎসার প্রয়োজন।
রোজের ব্যায়াম ও ডায়েট-
৩০ মিনিট সাঁতার কাটা, ট্রেড মিল করা, সাইকেল চালানো, হাঁটা ইত্যাদি। এছাড়া ৫০-১০০টা সিটআপ রোজ দিলে উপকার।
কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার (রেড মিট, প্রসেসড ফুড, বাইরের ভাজা খাবার) কম খান , প্রোটিন বেশি খান।সঙ্গে রোজ ২০০ গ্রাম ফল, স্যালাড খান ও ড্রাই ফ্রুটস, সিজনাল ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: ডা. আশিস মিত্র, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (ফোন -৯৮৩০০৫৩১৯৩)