সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবহাওয়ার খেমখেয়ালিপনায় ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। শুধু মানুষ নয়, এই ওয়েদারে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বাড়ির চারপেয়ে সদস্যও। শরীরে বাসা বাঁধছে পোকা (টিক)। যার জেরে হচ্ছে জ্বর। প্রাণহানির খবরও আসছে অহরহ। তাই সর্বদা নজর রাখুন পোষ্যের উপর। কয়েকটি উপর্সগ দেখলেই যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।
বুঝবেন কীভাবে টিক ফিভারে আক্রান্ত আপনার প্রিয় পোষ্য? চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই পোকা শরীরে বাসা বাঁধার ৭ থেকে ২১ দিনের মধ্যে তা কাহিল করে দেয় কুকুরকে। ক্লান্ত হয়ে যায় চারপেয়েরা। খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। এক পর্যায়ে জল ছাড়া কিছুই খেতে চায় না। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে ক্রমশ ছড়িয়ে বাড়তে থাকে পরজীবী। যা ক্ষতি করে কিডনি, লিভারের। বাসা বাঁধে ব্যাবেসিয়া-সহ একাধিক রোগ। যা প্রাণ কাড়তে পারে। তাই এই মরশুমে পোষ্যের শরীরে যাতে কোনওভাবে পোকা বাসা বাধতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে এলেই পায়ের তলা ভালো করে পরিস্কার করতে ভুললে চলবে না। নখের চারপাশেও অনেক সময় পোকা থাকে। সেদিকে নজর দিতে হবে।
পোকা রুখতে কী করবেন?
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য বাজারে বহু স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ শ্যাম্পুও। বাজারে এক ধরনের ‘টিক কলার’ পাওয়া যায়। যা গলায় পরিয়ে রাখলে আপনার অজান্তেই পোষ্যের শরীর থেকে ভ্য়ানিশ হয়ে যায় পোকা। তবে এর মেয়াদ ৯ মাস থেকে ১ বছর। তারপর এই বেল্টটি আর কাজ করে না। এছাড়া রয়েছে স্পট অন। এটি একধরনের ওষুধ। যা পোষ্যের ঘাড় থেকে লেজের শুরুর পর্যন্ত শিরদাড়া বরাবর টেনে দিতে হয়। তাতেও কয়েকদিনের মধ্যে উধাও হয় পোকা। তাতেও কাজ না হলে ব্যবহার করতে হবে ওষুধ। তবে তার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।