সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীরের রোগের থেকেও যেন বেশি সাংঘাতিক হয়ে উঠছে মনের অসুখ। পল্লবী দে, তুনিশা শর্মার মতো অভিনেত্রীদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের মতো ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে অ্যাংজাইটি, মানসিক অবসাদের পরিণাম।
শোনা যাচ্ছে, ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছিলেন তুনিশা। শিশুশিল্পী আবার সেই বয়স থেকেই রোজগার করতে শুরু করেছিলেন। জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, কিন্তু মানসিক সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাননি। তুনিশার মৃত্যুর পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিনেতা সিজান মহম্মদ খানকে। অভিযোগ, সিজানের সঙ্গে ব্রেকআপের পরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কুড়ি বছরের অভিনেত্রী। এখানেই বলতে হয়, সম্পর্কে ভালবাসার থেকে বেশি ভারসাম্যের বেশি প্রয়োজন। বিশেষ করে সঙ্গী যদি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এমন ক্ষেত্রে কী করবেন?
- অ্যাংজাইটি কেন হয়? মানসিক সমস্যার কোন পর্যায়কে মানসিক অবসাদ বলা যায়? এই বিষয়গুলি সম্পর্কে প্রথমে ভাল করে জানুন। পড়াশোনা করুন। এমন সমস্যাগুলি সঙ্গীর সঙ্গে আপনার কেমন ব্যবহার করা উচিত তাও জেনে রাখুন।
- দোষারোপ করবেন না। সঙ্গী যেন এটা না ভাবে তাঁর জন্যই আপনার জীবনে যাবতীয় সমস্যা। নিজেকে তাঁর সবচেয়ে নিশ্চিন্তের আশ্রয় হিসেবে গড়ে তুলুন।
[আরও পড়ুন: কনকনে শীতেও মেতে উঠুন বন্য যৌনতায়, রইল সহজ কিছু টিপস]
- সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না তাতে আরও বাড়বে। কখন কোন বিষয়গুলিতে আপনার সঙ্গী আঘাত পাচ্ছে বা রেগে যাচ্ছে খেয়াল রাখুন। সেগুলি নিয়ে পরে ঠান্ডা মাথায় অবশ্যই আলোচনা করুন।
- সব সমস্যার সমাধান হয় না। তা করতেও যাবেন না। সঙ্গীর কথা মন দিয়ে আগে শুনবেন। ভাল শ্রোতা হলেও আপনি বিষয়গুলি ভালভাবে বুঝতে পারবেন, আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
- প্রশ্ন করতে দ্বিধা বোধ করবেন না। সঙ্গীর কাছেই জানতে চান, আপনি তাঁকে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন বা আপনার কাছ থেকে তাঁর প্রত্যাশা কী? নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না।
- মানসিক সমস্যা যাঁদের রয়েছে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুবই কঠিন। তার জন্য আপনার নিজের ভাল থাকাও খুব প্রয়োজন। আপনি শান্ত থাকলে সঙ্গের মানুষটাকে ভাল রাখার কাজটি সহজ হবে।