অর্ণব আইচ: পাবলিক ওয়াইফাই লাগে বড় ভালো? হ্যাক হয়ে গেলে ভবিষ্যৎ হবে কালো। অথবা, অচেনা লিঙ্কে ক্লিক? মোটেই নয় ঠিক! বাসের গায়ে লেখা এরকম এক ডজন ছড়া। তার সঙ্গে প্রচুর রংবেরংয়ের ছবি। এবার সাইবার অপরাধ রুখতে লালবাজারে পুরোদস্তুর তৈরি ‘সাই-বাজ’। উদ্বোধনের পরই সে নামবে কলকাতার রাস্তায়। ঘুরবে স্কুল-কলেজে। পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রচারই বড় হাতিয়ার। প্রতিটি থানা এলাকায় মাইকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রচার করে সাইবার অপরাধ কমানোর জন্য প্রত্যেক ডিভিশনের কর্তা ও থানার আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার কলকাতাজুড়ে প্রচারে নামানো হচ্ছে ‘সাই বাজ’কে।
পুলিশের মতে, এখন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতেও রয়েছে মোবাইল। অনেক সময়ই অনলাইন ক্লাস করার জন্য মা-বাবারাই বাধ্য হন নিজেদের মোবাইল তাঁদের সন্তানের হাতে তুলে দিতে। আবার ক্লাসের সময় ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মা-বাবার মোবাইল ব্যবহার করে। সাধারণত মোবাইলে থাকে ব্যাঙ্কের তথ্য। তাই না জেনে সাইবার অপরাধীদের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করলেও সেই ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাববকদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যেতে পারে টাকা। আবার অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে ‘সেক্সটরশন’-এর শিকার হচ্ছে স্কুল থেকে কলেজের ছাত্ররাও। এছাড়াও বহু কলেজ ছাত্র-ছাত্রীও ‘শিকার’ হন সাইবার জালিয়াতদের। তাই এবার ‘সাই বাজ’-এর মূল লক্ষ্য শহরের স্কুল-কলেজগুলি।
[আরও পড়ুন: সাবধান! এক মাসে দেশে ৭১ লক্ষেরও বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল WhatsApp]
এই ব্যাপারে ডিসি (সাইবার) অতুল বিশ্বনাথন জানান, আপাতত কলকাতার স্কুল ও কলেজগুলিতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রচার চালাবে একটি ‘সাই বাজ’। প্রয়োজনমতো পরে বাসের সংখ্যা ও প্রচারের পরিধিও বাড়ানো হবে। এদিকে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থায় আসা ভুয়া মেল আইডি-র মাধ্যমে সাইবার জালিয়াতি রুখতে কলকাতার বণিকসভার সঙ্গেও বৈঠক করবেন লালবাজারের গোয়েন্দাকর্তারা।
‘সাই বাজ’-এর বাইরের অংশে থাকছে সাইবার অপরাধ দমনের জন্য বারো রকমের প্রচার। তার জন্য ইংরেজি ও বাংলায় তৈরি করা হয়েছে ছড়া। তার সঙ্গে থাকছে প্রমাণ মাপের ছবি। ওই ছড়া ও ছবি অনেক দূর থেকে দেখতে পাবেন পথচারীরাও। আবার বাসের গায়ে থাকছে এক ডজন কিউ আর কোড। ওই কোডে স্ক্যান করলেই মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে উঠবে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের বিবরণ ও তা নিয়ে লেখা ‘ছবিতে গল্প’।