সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে ‘বিপজ্জনক’ সেক্স পজিশন। সঙ্গিনীর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতার সময় সেই পোজই বেছে নিয়েছিলেন ৩৭ বছরের এক যুবক। আর সেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই হয়ে দাঁড়াল তাঁর ‘কাল’। সঙ্গম চলতে চলতে আচমকা প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরে উঠলেন তিনি। দেখতে পেলেন তাঁর পুরুষাঙ্গের (Private part) মুখ থেকে রক্ত নির্গত হচ্ছে। অচিরেই তিনি বুঝতে পারলেন তাঁর লিঙ্গ ‘ভেঙে’ গিয়েছে! ইন্দোনেশিয়ার ওই যুবকের ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘ইউরোলজি কেস রিপোর্টস’ নামের এক জার্নালে।
ওই যুবক যে সেক্স পজিশন বেছে নিয়েছিলেন তা বিশ্বের সবচেয়ে ‘বিপজ্জনক’ সেক্স পজিশন বলে মনে করেন বহু চিকিৎসকরাই। কিন্তু কেন? ‘রিভার্স কাউগার্ল’ নামের ওই পজিশনে পুরুষ সঙ্গীর উপরে উত্থিত হন তাঁর সঙ্গিনী। কিন্তু তাঁর মুখটি প্রেমিকের দিকে নয়, থাকে উলটো দিকে। সঙ্গমকালীন অবস্থায় লিঙ্গ জখম হওয়ার ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রই ওই পজিশনে যৌনতার (Physical intimacy) সময়ই ঘটে।
[আরও পড়ুন: এই ৫ পরিস্থিতিতে ভুলেও যৌনতা নয়, হতে পারে মহাবিপদ!]
কিন্তু পুরুষাঙ্গ তো হাড়হীন। সেটা ‘ভাঙা’ কীভাবে সম্ভব? এখানে ‘ভাঙা’ শব্দটিকে রূপক হিসেবেই দেখতে হবে। আসলে পুরুষাঙ্গের দৃঢ়তা ও তার আকার বৃদ্ধির জন্য দায়ী যে কোষ, সেই টিউনিকা আলবুগিনিয়া ছিঁড়ে গিয়েছিল ইন্দোনেশীয় যুবকের। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কেবল সঙ্গম করার সময়ই যে এমন বিপত্তি হতে পারে তা নয়। বিছানায় শোয়ার সময় কোনও বিচিত্র ভঙ্গিতে শুতে গেলে অথবা হস্তমৈথুনের সময়ও অসাবধানতাবশত পুরুষাঙ্গ জখম হতে পারে।
এখন কেমন আছেন ওই যুবক? জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁর পুরুষাঙ্গকে সারিয়ে তুলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল চিকিৎসকদের। তবে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার পর দেখা গিয়েছে পুরুষাঙ্গটি সুস্থ হয়ে উঠছে। তা আগের মতোই দৃঢ় হয়ে উঠেছে, প্রস্রাবেও সমস্যা নেই।