অভিরূপ দাস: ক্যানসার আক্রান্ত কিনা জানিয়ে দেবে মোবাইল অ্যাপ! অ্যানড্রয়েড মোবাইলে নামাতে হবে একটা অ্যাপ্লিকেশন (Mobile Application)। দিতে হবে ষাটটা প্রশ্নের উত্তর। তাহলেই ধরা পরবে ক্যানসার। কীভাবে?
বুকের মধ্যে হাত দিয়ে কোনও মাংসপিণ্ড অনুভব করছেন? মুখের মধ্যে ঘা সাড়ছে না? কানে অনেকদিন ধরে ব্যাথা রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে উপসর্গের চিহ্ন। চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা খুঁটিয়ে দেখবেন আমজনতার উত্তরগুলো। বুঝতে পারবেন শরীরে বাসা বেঁধেছে কিনা মারণ রোগ। এ যেন অনেকটা আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশনের মতো। যার মাধ্যমে করোনা নির্ণয় সম্ভব হত।
[আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়াদের কাছে জনপ্রিয় সুকন্যা’, TET বিতর্কের মাঝেই দাবি বোলপুরের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের]
নতুন এই অ্যাপ্লিকেশন যদিও সমস্ত ক্যানসারের জন্য নয়। মোট ছ’টা ক্যানসার নির্ণয় করা যাবে এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। যার মধ্যে রয়েছে মুখের ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, স্তনের ক্যানসার, সারভাইকাল ক্যানসার। সন্দেহজনক ব্যক্তির মোবাইলে ফোন যাবে মুহূর্তে। যেতে বলা হবে নিকটবর্তী হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই বাংলার সমস্ত জেলার তিনটে করে বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ‘কারকিনোস’। প্রাথমিক কথা হয়েছে রাজ্যের কিছু সরকারি হাসপাতালের সঙ্গেও। তাদেরই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের নাম ‘কারকিনোস ডিটেক্ট ক্যানসার আরলি।’টাটা গ্রুপ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি, মায়ো ক্লিনিক ইতিমধ্যেই কারকিনোস হেলথকেয়ারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। ক্যানসার চিকিৎসায় অন্যতম নাম টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন এই বেসরকারি সংস্থা। ক্যানসার চিকিৎসায় গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষদেরও আসতে হয় শহরে। সেই প্রতিবন্ধকতা কাটাবে নতুন অ্যাপ্লিকেশন।
বুধবার সংস্থার তরফে ডা. আখতার জাভেদ জানিয়েছেন, প্রশ্নগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে তার সঠিক উত্তর দিলেই জানা যাবে ক্যানসারের বাসা বেঁধেছে কিনা। মূলত দু’টো ভাগে বিভক্ত করা হবে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদের। চিকিৎসকরা বলছেন, সত্তর শতাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসার ধরা পরে তৃতীয় কিম্বা চতুর্থ ধাপে। রোগীকে বাঁচানো যায় না। কিন্তু প্রথম স্টেজে দশজনের ক্যানসার ধরা পরলে ন’জনকেই বাঁচিয়ে তোলা যায়। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চটজলদি ধরা যাবে অসুখ। চিকিৎসাও শুরু করা যাবে দ্রুত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ফার্স্ট স্টেজে ক্যানসার ধরা পরলে চিকিৎসার খরচও অনেক কম। চতুর্থ স্টেজে ক্যানসার ধরা পরলে পাঁচগুণ টাকা খরচ হয় রোগীর।