অভিষেক চৌধুরী, কালনা: একশো টাকা থেকে আঠারো হাজার টাকা। সব ধরনের দামের শাড়ি মিলছে তন্তুজের (Tantuja) শোরুমগুলিতে। দুর্গাপুজো উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের কথা ভেবে এমনই আয়োজন করেছে সরকারি এই বিপণীতে। শুধু তাই নয়, বস্ত্রসম্ভারের বিক্রিবাটা বাড়াতে রাজ্যের শোরুমগুলিতে হাজির করানো হচ্ছে সেলিব্রিটি বিধায়কদেরও। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের শ্রীরামপুরে থাকা তন্তুজর শোরুমে তাই উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তথা বিধায়ক লাভলি মৈত্র। এদিন তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী অসীমা পাত্র,বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম,এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ আধিকারিকরা। পুজোর কেনাকাটা সারতে শোরুমে এসেছিলেন বহু মানুষও।
বস্ত্রসম্ভারে নিত্যনতুন ডিজাইনের আমদানিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার জিতে নিয়েছে তন্তুজ। তাই তন্তুজর উৎপাদিত দ্রব্য কেনায় বাংলা-সহ দেশের মানুষজনের বাড়তি আগ্রহও তৈরী হয়েছে। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে তাই সারা দেশের ৭৩টি শোরুমে তাই ভিড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ভেবে মাত্র ১০০ টাকায় শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সেখানে।
[আরও পড়ুন: সাবধান! কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় ভুলেও এই কাজগুলি করবেন না]
১০৬ টাকায় মিলছে চিপার শাড়ি। ৪২৭ টাকার মাঠাপাড়ও রয়েছে তন্তুজে। ৮০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা দামের কাঁথাস্টিচ, ১৮ হাজার টাকার বালুচরী, ১৫-১৬ হাজার টাকার তসর, সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বিভিন্ন ধরনের তাঁত সিল্ক। রয়েছে ফুলিয়ার ঢাকাই জামদানিও। এছাড়াও বেড কভার,পাজামা, পাঞ্জাবি,ধুতি, লুঙ্গি, তোয়ালে, চাদর, ওড়নাও রয়েছে বলে জানান প্রোকিওরমেন্ট অফিসার অরূপ অধিকারী।
পুজোর আগে তন্তুজর বাজারকে আরও জমজমাট করতে সেলিব্রটি বিধায়ক লাভলি মৈত্র শুক্রবার শ্রীরামপুরের শোরুমে আসতেই ক্রেতাসাধারণ পোশাক-আশাক কেনার পাশাপাশি সেলেবদের সঙ্গে লাইন দিয়ে সেলফিও তোলেন। লাভলি বলেন,“প্রচুর ক্রেতা আসছেন শোরুমগুলিতে। বস্ত্রসামগ্রী কেনায় তাদের আগ্রহও বেড়েছে অনেকখানি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তন্তুজ এখন লাভজনক সংস্থা।”
এমনই এক বক্তব্য রাখেন তন্তুজর স্পেশ্যাল অফিসার তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন,“মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাম জমানায় ধুঁকতে থাকা তন্তুজর হাত ধরে বাংলার হস্ততাঁতশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। তাঁতিদের কাছ থেকে সরাসরি উৎপাদিত বস্ত্রসম্ভার কেনার কারণে তাঁতিরা দুটো পয়সার মুখ দেখছেন। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।বাড়ছে কর্মসংস্থানও।”