সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও কুয়াশা মাখা, কখনও ঝুপ করে বৃষ্টি। কখনও ঝলমলে রোদে গা পুড়িয়ে পাহাড়ি পথে হেঁটে যাওয়া। চড়াই-উতরাইয়ে ক্লান্ত হলে ফ্লাস্কে রাখা কফি বা চায়ে চুমুক। পাহাড়ের ঢালে পাশে পড়ে থাকা বড় পাথরের ওপর একটু বিশ্রাম। ট্রেক মানেই নিজেকে অন্যভাবে খুঁজে পাওয়া। অনেকটা ঠিক ভিড়ের মাঝে একলা হয়ে যাওয়া। যাঁরা ট্রেক করতে ভালবাসেন, তাঁরা একথার সঙ্গে একেবারেই সহমত পোষণ করবেন। কারণ, ট্রেকের নেশা এমনই, যে একবার গেলে, বার বার যেতে চাইবেন। তাই এই লেখা একেবারেই ট্রেক প্রেমিদের জন্য।
দেশের উত্তর-পূর্বে রয়েছে এমন অনেক ট্রেক পয়েন্ট, যা কিনা বিপদজনক হলেও, ভারি সুন্দর। ঠিক যেমন, মেঘালয়ের মাওরিংখাং। এখানকার বাম্বু ট্রেক খুবই জনপ্রিয়। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য একেবারে পারফেক্ট এই ট্রেক। এই ট্রেককে মাওরিংখাং ট্রেকও বলা হয়ে থাকে। ট্রেকাররা এই ট্রেককে দেশের সবচেয়ে বিপদজনক ট্রেক পয়েন্ট নামেও ডেকে থাকেন।
[আরও পড়ুন: কলকাতার কাছেই সেজে উঠছে আরেক ইকো পার্ক, থাকছে অর্কিডের বাগান, ঠিকানা জানেন?]
এত বিপদজনক কেন?
মেঘালয়ের ওয়াহখেন গ্রাম থেকে মূলত শুরু হয় এই বাম্বু ট্রেক। ট্রেকটা পুরোটাই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে করতে হয়। ঝরনা, নদী, খাদ, জঙ্গল, পাহাড় পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। এই সেতুর সবচেয়ে নজরকাড়া বৈশিষ্ট্যই হল এই বাঁশের সাঁকোটি গ্রামের মানুষদের হাতে তৈরি। মূলত, দড়ি দিয়ে বাঁশকে বেঁধে বেঁধেই তৈরি করা হয়েছে এই সেতুটি। স্থানীয়দের কথায়, খুব কম মানুষই এই ট্রেক শেষ করতে পারেন। স্থানীয়দের কথায়, অনেক সময়ই হাওয়ার চোটে এই সাঁকো নড়তে থাকে। যা কিনা ট্রেকের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং।
বাম্বু ট্রেকিং শুরু হয় মেঘালয়ের পাইনুরসাল্লা মহকুমার খাসি গ্রাম ওয়াহখেন থেকে। শিলং থেকে ডাউকির পথে যেতে পড়ে এই গ্রাম।
অবশ্যই মনে রাখুন–
১) বাম্বু ট্রেক করার সময় অবশ্যই পরুন এমন জুতো যা পিছলে যাবে না। হিল জুতো একেবারেই নয়।
২) শীতকালেই এই ট্রেক করুন।
৩) জলের বোতল, শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। তবে প্লাসটিক কিন্তু এখানে নিষিদ্ধ।
৪) বাম্বু ট্রেক করার সময় কোনও আবর্জনা ফেলবেন না।
৫) ঢিলে ঢালা পোশাক একেবারেই নয়। উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলুন এই ট্রেক।