রাহুল রায়, বসিরহাট: পুজোর চারটে দিন দুগ্গা দুগ্গা করেই কাটবে। তারপর? তারপর তো ‘বলো দুগ্গা মাঈকী!!!’। মায়ের বিসর্জনের পালা। সে দৃশ্যও দেখার মতো হয়। মনখারাপের সঙ্গেই মিশে থাকে নতুন আশা। মন বলে ‘আবার এসো মা’। বিসর্জনের এই সময়টায় একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা চাইলে চলে যেতেই পারেন বসিরহাটের টাকিতে (Taki Basirhat)। সেখানে কী পাবেন? দুই বাংলার বিসর্জনের সাক্ষী থাকতে পারবেন।
ইছামতী নদীর এই বিসর্জনের কথা কম-বেশি অনেকেরই জানা। বচ্ছরকার একটা দিন এই নদীর বুকে দুই দেশের মানুষ নৌকা নিয়ে নেমে পড়েন। সীমারেখা লঙ্ঘন না করেই হয় প্রতিমা বিসর্জন। আর তা দেখতে ইছামতীর দু’দিকে মানুষের ঢল নামে। এ নতুন কিছু নয় বটে, কিন্তু গত দু’বছর ভারত-বাংলাদেশের মানুষদের পক্ষে এই প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। কারণ একটাই করোনা ভাইরাস (Coronvirus)।
[আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ডাকঘরকে হেরিটেজ তকমা, মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই পূরণ হল খেজুরিবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি]
গত দু’বছর কোভিড (COVID-19) বিধিকে মান্যতা দিয়ে ইছামতীর ভাসানের জৌলুসও ম্লান হয়েছিল। পাশাপাশি গত কয়েক বছর টাকি ও হাসনাবাদের বিসর্জন আলাদা হয়ে গিয়েছিল। প্রশাসনিক কর্তারা হাসনাবাদের মানুষকে নদীপথে টাকিতে ঢুকতে বাধা দিত কিন্তু এ বছরে টাকি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজীর উদ্যোগে হাসনাবাদের মানুষ নদীপথে অনায়াসেই টাকিতে প্রবেশ করতে পারবে এমনটাই জানা গিয়েছে। আর সেকারণে এবছর বহু মানুষের জনসমাগম হবে টাকির ইছামতির বিসর্জন দেখতে, জানালেন টাকি পুরসভার ফারুক গাজী।
ইছামতী নদীবক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দেশের সীমানা লংঘন না করেই হবে বিসর্জন। সম্প্রতি টাকির ইছামতী বক্ষে লঞ্চে দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ ও পুরসভার নেতৃবিন্দ আলোচনায় বসেন। সিদ্ধান্ত হয় দু’দেশের মানুষ তাদের নির্দিষ্ট জলসীমার মধ্যে থেকে নৌকায় ইছামতী বক্ষে বিসর্জনের দিন নামতে পারবেন। অর্থাৎ এবছরও দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে ইছামতী নদীর মাঝ বরাবর টানা হবে সীমারেখা।