সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা-ঠাকুমারা বলেই থাকেন রান্নাঘরেই রয়েছে রূপচর্চার দারুণ সব উপাদান। বাজারে উপলব্ধ প্রসাধনী থেকে এসব অনেক ভাল। চটজলদি উপকার পেতে রান্নাঘরের উপাদানই শ্রেষ্ঠ।
বেসনের ফেসপ্য়াক: ফেস প্যাকের বেস হিসেবে বেসন কিন্তু দারুণ কাজ করে। বেসন ন্যাচরাল স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করবে। এমনকী তৈলাক্ত ত্বকেও বেসন ব্যবহার করা যায়।
ওটমিল: তৈলাক্ত ত্বকের আদর্শ ফেস মাস্ক তৈরি করতে ওটমিল অপরিহার্য। দই আর ওটমিল মিষিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন, চট জলদি ত্বক হয়ে উঠবে ঝকমকে! ন্য়াচরাল স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে ওটমিল।
[আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপনের চটকে ভুলবেন না, শ্যাম্পু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন]
মধু: মধু ময়েশ্চরাইজার হিসেবে খুব ভাল। সেই সঙ্গে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বলে ব্রণ বা ফুসকুড়ির প্রকোপ কমাতেও তা দারুণ কার্যকর। যে কোনও মাস্কেই কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন, তা ত্বককে আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
নারকেল তেল: নারকেল তেল ময়েশ্চরাইজারের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন। শুধু মুখ নয়, গোটা শরীরে ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল। নারকেল তেল গরম করে মাথায় লাগালে প্রায় হেয়ার ট্রিটমেন্টের কাজ হবে। লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবেও শ্যাম্পু করা চুলে লাগাতে পারেন।
দই: দই আর মধুর প্যাক হেয়ার মাস্ক হিসেবে দারুণ। যে কোনও ফেস প্যাককে তা বেশি গুণকারী করে তোলে। ফুল ফ্যাট দুধ থেকে তৈরি দই শুষ্ক ত্বকের জন্য আদর্শ।
রসুন: পরিমাণ মতো বেসন নিন। তার সঙ্গে মিশিয়ে দিন অল্প দই এবং এক কোয়া রসুন থেঁতো রসুন। ভাল করে মিশিয়ে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। দেখবেন বলিরেখা খুব জলদি গায়েব হয়ে যাবে। তবে শুধু মেখে নয় সপ্তাহে অন্তত দুদিন যদি এক কোয়া করে রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন, তাহলে ত্বকে আসবে লাবণ্য! তবে রসুন খাওয়ার পর ব্রাশ করে নিতে ভুলবেন না।