সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটারের (Twitter) চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার বা সিইও পদে বসতে না বসতেই বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল (Parag Agarwal)। সৌজন্যে এগারোর বছরেরও বহু পুরনো এক টুইট। অভিযোগ, সেই টুইটে বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই সময় অবশ্য তিনি টুইটারের কর্মী ছিলেন না। এবার সেই টুইট ঘিরেই বিতর্কে সংস্থার নতুন সিইও।
ঠিক কী পোস্ট করেছিলেন তিনি? ২০১০ সালে টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ”যদি ওরা মুসলিম ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ফারাক না করতে পারে, তা হলে আমিই বা কেন বর্ণবিদ্বেষী ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে পার্থক্য করব?” তবে ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবরের ওই পোস্টের বক্তব্য আসলে পরাগের নয়। তিনি এক কমেডিয়ানের করা বিবৃতিকেই তুলে ধরেছিলেন। এতদিন পরে সেই পুরনো টুইট ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। তাঁকে ট্রোল করা শুরু করেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: সুখবর! এবার প্রতিদিন বিনামূল্যে অতিরিক্ত ডেটা পাবেন এই টেলিকম সংস্থার গ্রাহকরা]
সোমবার এক বিবৃতিতে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন টুইটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি। এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ডর্সি লেখেন, “১৬ বছর ধরে আমাদের সংস্থায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর আমার বিদায নেওযার সময় এসে গিয়েছে। পরাগ (পারগ আগরওয়াল) হচ্ছেন আমাদের সিইও। প্রতিষ্ঠাতাদের ছাড়াই সংস্থা এগিয়ে যেতে পারে বলে আমই মনে করি। তাই সিইও পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” অন্যদিকে, নয়া দায়িত্ব পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত পরাগ। তিনি বলেন, ‘‘আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’
২০১১ সাল থেকেই টুইটারের সঙ্গে জড়িত আইআইটি বম্বের প্রাক্তনী। ২০১৭ সালে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের চিফ টেকনোলজি অফিসার পদে বসেন পরাগ। ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের স্কুলে পড়াশোনা করেছেন পরাগ। আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে করেছেন বি.টেক। তারপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডক্টরেট করেছেন। ২০০৬ সালের জুনে মাইক্রোসফ্টে যোগ দেন তিনি। পরে ২০১১ সালের অক্টোবরে যোগ দেন টুইটারে। মাঝে ইয়াহু ও এটি অ্যান্ড টি ল্যাবেও কাজ করেছিলেন তিনি।