সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) সঙ্গে তিনি কখনও খেলেননি। তবে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) কেরিয়ারের শুরুতেই বার্সেলোনায় (Barcelona FC) ছিলেন রোনাল্ডিনহো গাউচো (Ronaldinho Gaucho)। তাঁর বাড়ানো বল থেকেই বার্সেলোনার সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম গোল করেছিলেন ‘এলএম টেন’ (LM 10)। কলকাতায় পা রাখার পরেই স্বাভাবিকভাবেই মেসি ও রোনাল্ডোর প্রসঙ্গ উঠেছে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে (2026 FIFA World Cup) কি দুই কিংবদন্তি খেলতে পারবেন? জবাব দিলেন ব্রাজিলের (Brazil) প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার।
রোনাল্ডিনহো বলেন, “বয়স ফ্যাক্টর নয়। সেটা কিন্তু মেসি ও রোনাল্ডো ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছে। তাই আমার ধারণা ওরা দুজনেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ খেলতে পারবে। দের ক্ষমতা ও দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। ওরা যদি শরীরের যত্ন নিতে পারে এবং ওয়ার্কলোডের বিষয়ে সচেতন। তবে ওরা বিশ্বকাপ খেলবে কিনা সেটা ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
[আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের থেকে ভারত অনেক এগিয়ে, বুমরাহ-শাহিনের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ!’, গম্ভীরের বিস্ফোরণ]
ফুটবলারদের স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া প্রসঙ্গে রোনাল্ডিনহো বলেন, “আমি যখন পেশাদার ফুটবলার ছিলাম, তখন পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলাম। পেশাদার ফুটবলারদের সংযম বজায় রাখতেই হবে। তবে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর আমি অনেককিছুই চেখে দেখেছি। এমন অনেক খাবার খেয়েছি যা একইসঙ্গে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। একজন পেশাদার ফুটবলারকে শরীরের যত্ন নিতেই হয়। প্রতিটি অ্যাথলিটের ডায়েটেই প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। এটা সবারই মাথায় রাখা জরুরি। আমি পেশাদার ফুটবলার হিসেবে সংযম বজায় রেখেছি।”
বার্সেলোনা, এসি মিলান, প্যারিস সাঁ-জা-র হয়ে খেলেছেন রোনাল্ডিনহো। এদিকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও বার্সেলোনার মানুষ। ফলে তিনি কাছ থেকে রোনাল্ডিনহোকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। লাল-হলুদের একটি অনুষ্ঠানে ফের তাঁর সঙ্গে রোনাল্ডিনহোর দেখা হল।
ব্রাজিলের হয়ে ৯৭ ম্যাচ খেলে ৩৩ গোল করেন রোনাল্ডিনহো। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে ব্রাজিলকে পঞ্চমবার চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন রোনাল্ডিনহো। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপেও তিনিই ব্রাজিলের প্রধান ভরসা ছিলেন। কিন্তু সেবার হতাশ করেন রোনাল্ডিনহো।