সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হ্যাঁ, আজ লিওনেল মেসির (Lionel Messi) জন্মদিন। মেসি যা অর্জন করেছে, তার জন্য আর্জেন্টিনার সবাই খুব খুশি। মেসি আমাদের জন্য অনেককিছু।
কথাগুলো সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে বলছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার অ্যালেক্সিজ গোমেজ। এবার তিনি মহামেডান স্পোর্টিংয়ে যোগ দিয়েছেন। শহর কলকাতায় এখনও পা রাখেননি তিনি। আর্জেন্টিনায় বসে মেসি-বন্দনায় মজে অ্যালেক্সিজ। এ শুধু তাঁর একার কথা নয়। গোটা আর্জেন্টিনার মনের কথাই যে তাই।
এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখনও বুয়েন্স আইরেসে নতুন দিনের সূর্য হাসেনি। ২৪ জুন হয়নি সেখানে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আর্জেন্টিনা। রাত নেমেছে সেখানে। চব্বিশের সকাল হলে নব আনন্দে জেগে উঠবে আর্জেন্টিনা। পালন করবে লিওনেল মেসির জন্মদিন।
শহর কলকাতাও পালন করবে জাদুকরের জন্মদিন। কেক কাটা হবে। উদযাপন করা হবে রাজপুত্রের জন্মদিন। আজ সারাদিন ধরে বিশ্বের অন্যান্য শহরের শ্বাসপ্রশ্বাসেও যে মেসিই থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যে ছড়িয়ে রয়েছেন অসংখ্য মেসি-ভক্ত। আজ তাঁদের খুশির দিন। আনন্দের দিন। ২৪ জুন লিও মেসি নামে এক রক্তমাংসের মহানায়কের জন্মদিন। যিনি বল পায়ে ছবি আঁকেন।
[আরও পড়ুন: ‘শুরুতে সব ভাল ছিল, তারপর…’, পিএসজি সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল ধরা নিয়ে মন্তব্য মেসির]
আজকের দিনটা মেসির জন্য সব অর্থেই অন্য রকমের। আজ তিনি সম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণতা নেই কিছুতে। রবিঠাকুরের কথায়, আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছ দান..।
মেসির ৩৬তম জন্মদিনটা অন্যরকম হওয়ারই তো কথা। মেসিভক্তদের কাছেও কি অন্যধরনের নয়! বহুদিন ধরে এক অব্যক্ত যন্ত্রণা লুকিয়ে রেখেছিলেন মেসিভক্তরা। অনেক ট্রোলিং হজম করতে হয়েছিল তাঁদের। প্রতিবার বিশ্বকাপ এসেছে, চোখের জলে বিদায় নিয়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র। আর্জেন্টিনা হাপুস নয়নে কেঁদেছে। মেসির চোখের জল যে সহ্য হয়নি সে দেশের মানুষের।
এতদিন ধরে ভক্তরা মেসির জন্মদিন পালন করে এসেছেন ধুমধাম করে। সেই সব বছরগুলিতে মেসি সবুজ মাঠে ম্যাজিক দেখিয়েছেন, স্কিলের বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন, বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন, কিন্তু দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। তাঁর হাতে ওঠেনি বিশ্বজয়ের শিরোপা। বিশ্বফুটবলে আর্জেন্টিনা পাওয়ার হাউস হয়েও খালি হাতে ফিরেছে বিশ্বকাপ থেকে।
যা গেছে তা যাক। লিও মেসি এখন বিশ্বজয়ী। পঁয়ত্রিশের মেসি কাতারে ফুল ফুটিয়েছেন। সৌদি আরবের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়ে অবিশ্বাস্য ভাবে ফিরে আসেন টুর্নামেন্টে। প্রতিটি ম্যাচে মেসি স্কিলের মঙ্গলকাব্য লিখে যান। রূপকথার ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বজয়ী হয় আর্জেন্টিনা। সেদিন চোখের জল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বিশ্বফুটবলের এলএম ১০। সতীর্থদের কাঁধে চেপে উদযাপন করেন বিশ্বজয়ের।
সেই ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার হাত ধরে বিশ্বকাপ গিয়েছিল আর্জেন্টিনায়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে ২০২২ সালে আর্জেন্টিনা আরও একবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। বুয়েন্স আইরেসে নতুন এক সকাল হয়।
৩৬ বছরের ট্রফি খরা কাটানো ম্যাজিশিয়ান মেসির ৩৬তম জন্মদিন আজ। বিশ্ব মেতে উঠুক মেসি-বন্দনায়। দীর্ঘায়ু হোক আপনার ফুটবলজীবন। ভক্তরা আপনার খেলা দেখে গেয়ে উঠুক, তুমি কেমন করে খেলো হে গুণী।
[আরও পড়ুন: ডুরান্ড কাপ শুরু ৩ আগস্ট, বাংলার তিন মাঠে হবে খেলা]