সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ ইন (Live-in relationship) সম্পর্ক এখন জীবনেরই অংশ হয়ে উঠেছে। একে সামাজিক নৈতিকতার দিক থেকে না দেখে ব্যক্তিগত স্বায়ত্তশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা দরকার। এক মামলায় এমনই মন্তব্য এলাহাবাদ হাই কোর্টের। এপ্রসঙ্গে আদালতের বক্তব্য, ”মাননীয় শীর্ষ আদালতের সম্মতিক্রমে লিভ ইন সম্পর্ক জীবনেরই অংশ হয়ে উঠেছে।”
দুই লিভ ইন যুগল এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দুই ক্ষেত্রেই অভিযোগ এক। মেয়েদের পরিবার তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেছে। প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে হুমকিও। এই মামলার শুনানিতেই এমন মন্তব্য প্রীতিঙ্কর দিবাকর ও আশুতোষ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চের।
[আরও পড়ুন: আরও ৩ বছর রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর পদে থাকবেন শক্তিকান্ত দাস, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
ঠিক কী জানিয়েছে বেঞ্চ? শুনানির সময় বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ”লিভ ইন সম্পর্ককে ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার অনুসরণে ব্যক্তিগত স্বায়ত্তশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। সামাজিক নৈতিকতার দিক দিয়ে নয়।” প্রসঙ্গত, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় জীবনযাপনের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়ে বলা হয়েছে। লিভ ইন সম্পর্কের সমর্থনে সেই ধারাই উল্লেখ করল আদালত।
আদালতে যে দু’টি পিটিশন জমা পড়েছে তার একটি জমা দিয়েছেন কুশীনগরের বাসিন্দা সায়রা খাতুন ও তাঁর লিভ ইন পার্টনার। অন্যটি জমা দিয়েছেন জিনাত পারভিন ও তাঁর সঙ্গী। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের কাছে গিয়েও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও পুলিশের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হয়নি। এপ্রসঙ্গে আদালতের মন্তব্য, পুলিশের কর্তব্য অভিযোগকারীদের রক্ষা করা। পুলিশকে ধমক দিয়ে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, আইনের অধীনে থেকে নিজের কর্তব্য পালন করাই পুলিশের কাজ। সেই হিসেবে অভিযোগকারীদের কোনও হুমকি দেওয়া হলে সেবিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশকে।
গত মাসে রাজস্থান হাই কোর্টে লিভ ইন সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, লিভ ইন রিলেশনের ক্ষেত্রে মহিলাটি যদি বিবাহিত হন তবে আর তাকে আইনের চোখে গ্রাহ্য বলা যাবে না।