সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নেভার ওয়াক অ্যালোন, নেভার গিভ আপ’! স্লোগানই যেন আক্ষরিক অর্থে প্রমাণিত হয়ে গেল মঙ্গলবার রাতে। অ্যানফিল্ডের মাঠে রূপকথার জন্ম দিল লিভারপুল। অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরে দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে মাদ্রিদ ফিনালের টিকিট ছিনিয়ে নিল য়ুরগেন ক্লপের ছেলেরা। অ্যাগ্রিগেটে ৪-৩ ফলে জিতল লিভারপুল এফসি। রূপকথার রাতে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়লেন মেসিরা। এই ম্যাচকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বকালের সেরা কামব্যাক বলছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। ২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে এসি মিলানের বিরুদ্ধে অনবদ্য পারফরম্যান্সের থেকেও এই ম্যাচকে এগিয়ে রাখছেন তাঁরা। এই নিয়ে পরপর দুবছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গেল লিভারপুল।
প্রথম লেগে ক্যাম্প ন্যু-তে বার্সেলোনার কাছে ৩-০ গোলে হারার পর অনেকেই লিভারপুলের আশা শেষ ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু আশা ছাড়েননি ম্যানেজার য়ুরগেন ক্লপ। জোয়াকিম লো-র মতোই অদম্য জেদ এই জার্মান কোচের। জার্মানরা যেমন হারার আগে হারে না। তেমনই নিজেদের উপর ভরসা রাখতে বলেছিলেন ক্লপ। তাঁর বিশ্বাসের দাম দিলেন ফুটবলাররা। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে কাতালুনিয়ার ক্লাবকে মাটি ধরালেন হেন্ডারসনরা। প্রথম লেগে দুর্দান্ত খেলেছিলেন লিওনেল মেসি। মঙ্গলবার অনেক চেষ্টা করেও গোলমুখে খুলতে পারলেন না তিনি। আরও একবার প্রমাণিত হল, এলএম ১০-ই বার্সেলোনার প্রাণভোমরা। এদিন আবার লিভারপুলের দুই তারকা ফুটবলার মহম্মদ সালাহ ও ফিরমিনো চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। তাও লিভারপুলের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন সুয়ারেজরা। উলটে লিভারপুলের ওরিগি ও জর্জিনোর দুই জোড়া গোলে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় বার্সেলোনার।
এই ম্যাচের সঙ্গে ২০০৫ সালে ইস্তানবুলে এসি মিলানকে হারিয়ে লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মিল পাচ্ছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। সেবার ৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে ফিরে আসে লিভারপুল। নির্ধারিত সময়ে খেলা যখন শেষ হয় তখন স্কোর ৩-৩। পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে জেতে লিভারপুল। তবে এদিনের পারফরম্যান্সকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা কামব্যাক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এভাবেও ফিরে আসা যায়, দেখিয়ে দিল লিভারপুল।
The post এভাবেও ফিরে আসা যায়! বার্সেলোনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে লিভারপুল appeared first on Sangbad Pratidin.