সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের কার্যবিবরণীর লাইভ স্ট্রিমিং বিচারপতিদের আরও কঠোর পরীক্ষার সামনে ফেলে দিয়েছে। বিচারকের আসনে যিনি বসে আছেন, তাঁর প্রত্যেকটা মন্তব্য বা আচরণ যেহেতু সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, তাই বিচারকদের আরও সচেতন হতে হবে। এমনটাই মনে করছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতো দেশের হাই কোর্টগুলিও বহু মামলার লাইভ স্ট্রিম করা শুরু করেছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মনে করছেন, এভাবে সব মামলার শুনানি ইউটিউবে চলে আসার একটা খারাপ দিকও আছে। বিচারপতিদের সেটা নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘মণিপুর জ্বলছে অথচ দ্য কেরালা স্টোরির প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী!’ ওয়েইসির তোপ মোদিকে]
শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি (CJI) বলেন,”আমরা যেভাবে মামলার লাইভ স্ট্রিমিং করছি, তাঁর একটা খারাপ দিকও আছে। আমাদের বিচারক হিসাবে আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে। কারণ আমরা কাজটা করছি সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে। আজ কোর্টে বসে আমরা যা যা বলছি, সব মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন,”আজকাল বেশিরভাগ হাই কোর্টই ইউটিউবে মামলাগুলির লাইভ স্ট্রিম করছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিচারপতিদের ছোট ছোট ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ছে।”
[আরও পড়ুন: সাহসী রিল বানাতে ট্রেনের সামনে দৌড়! কাটা পড়ে মৃত্যু নবম শ্রেণির পড়ুয়ার]
উদাহরণ হিসাবে প্রধান বিচারপতি তুলে ধরেন পাটনা হাই কোর্টের (Patna High Court) একটি ঘটনা। এক মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এক IAS আধিকারিককে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি শুধু শার্ট আর ট্রাউজার পরে কেন এসেছেন। কেন স্যুট পরে আসেননি? প্রধান বিচারপতি মনে করছেন এই ধরনের ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা কাম্য নয়।