সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের মিড-ডে মিল খেয়ে ছাত্রছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা আকছারই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে। ফের ঘটল একই ঘটনা। এবার খাবারে মিলল টিকটিকি। কাঠগড়ায় শহরের কলুটোলার সিএমও স্কুল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বউবাজার চত্বরে।
[খানাখন্দে ভরা বেহাল রাস্তা, চলন্ত অটো থেকে পড়ে মৃত দুধের শিশু]
জানা গিয়েছে, মহম্মদ মোশারফ নামে এক অভিভাবকের অভিযোগ, দুই শিশুর খাবারে ছিল টিকটিকি। যদিও সেই খাবার খাওয়ার পর ছাত্রীরা অসুস্থ হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ কীভাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ করতে পারে, সে প্রশ্নই উঠছে। খবর পৌঁছায় কলকাতা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে। ইতিমধ্যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়। স্কুলের তরফে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, খাবার সরবরাহকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বুধবার থেকে ওই ব্যক্তিকে খাবার সরবরাহ করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।
[এটিএম জালিয়াতির শিকার গ্রাহকরা, টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু কানাড়া ব্যাংকে]
অন্যান্য দিনের মতো এদিনও বউবাজারের এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিল দেওয়া হয়েছিল। সেই খাবার স্কুলে বসে না খেয়ে টিফিন বক্সে বাড়িতে নিয়ে যায় সাইমা পারভিন এবং সাদিয়া পারভিন নামের দুই ছাত্রী। তারপর সেই খাবার খায় দুই বোন। মোশারফের দাবি, হঠাৎই তাঁর স্ত্রী লক্ষ্য করেন খাবারে মরা টিকটিকি পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যান তিনি। অভিযোগ জানানো হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে তিনি জানান, খাবারে সম্ভবত বিষক্রিয়া হয়নি। তবে আরও বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের দরকার। তেমন হলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। কলকাতা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ও সিএমও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বৈঠক হয়। যে খাবার শিশুরা বাড়ি নিয়ে গিয়েছিল, তাতে যে টিকটিকি মিলেছে, তা আদৌ স্কুল থেকেই গিয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সতর্ক হতেই খাবার সরবরাহকারীকে খাবার দিতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে।
The post মিড-ডে মিলে টিকটিকি, এবার কাঠগড়ায় শহরের স্কুল appeared first on Sangbad Pratidin.