সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির মাঝেই পুরনির্বাচন বাংলাদেশে। সোমবার প্রথম দফায় ২৪টি পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। সোমবার দেশে প্রথম ধাপের এই পুর নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (EVM) মাধ্যমে কয়েকটি পুরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। ২৪ টি পুরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর-সহ মোট ১১৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটারদের লাইনে শারীরিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে কঠোরভাবেই।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শনিবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এছাড়া রবিবার মধ্যরাত থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান চলাচলও করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
[আরও পড়ুন: ভোটে হেরে প্রতিশ্রুতি পালন, বাংলাদেশে ভোটারদের পা ধুইয়ে দিলেন পরাজিত প্রার্থী]
যেসব জেলার অধীন পুরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো হল – পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ি, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহীর পুঠিয়া ও কাটাখালি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, পাবনার চাটমোহর, কুষ্টিয়ার খোকসা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনার চালনা, বরগুনার বেতাগী, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, বরিশালের উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নেত্রকোনার মদন, মানিকগঞ্জ, ঢাকার ধামরাই, সুনামগঞ্জের দিরাই, মৌলভিবাজারের বড়লেখা, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পুরসভা।
[আরও পড়ুন: ঢাকাকে ফের করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য প্রস্তাব চিনের সংস্থার]
গত ২২ নভেম্বর প্রথম ধাপে ২৫টি পুরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। গাজিপুরের শ্রীপুর পুরসভার একজন মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু হলে এই ধাপ থেকে পুরসভাটির ভোট স্থগিত করে সে দেশের নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে দেশে ৩২৯টি পুরসভা রয়েছে। আইন অনুযায়ী, পুরসভায় নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি প্রায় ২৫০টিরও বেশি পুরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই তাই ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হল।