শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: গঙ্গার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুর্শিদাবাদবাসীর (Mursh) ক্ষোভের মুখে উত্তর মালদহের সাংসদ-সহ বিজেপির নেতারা। কয়েকঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের নয়নসুখ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা কুলিদিয়ার। ভাঙ্গনে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ি। জমি, বসতভিটে হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন কয়েকশো পরিবার। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বিঘা পর বিঘা কৃষি জমি। ফলে কৃষিকাজ ছেড়ে কেউ আজ মৎসজীবী। কেউ আবার হয়েছেন রাজমিস্ত্রী। বর্ষা শুরু হতেই গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। কুলিদিয়ারের মণ্ডলপাড়া ও সায়েদ আলি পাড়ায় প্রায় দেড়শো মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এই বুঝি সর্বনাশী রাক্ষুসী গঙ্গা গ্রাস করবে সমগ্র এলাকা। আতঙ্কের মধ্যে প্রহর গুনছে প্রায় ৩০০টি পরিবার। যে কোনও সময় গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে গ্রামের একমাএ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রটি।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ফের রেকর্ড করোনার সংক্রমণ রাজ্যে, পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার]
বুধবার সকালে উত্তর মালদার বিজেপি (BJP) সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu), বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী, বিধায়ক স্বাধীন সরকার, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষ ও উওর মুর্শিদাবাদের সভাপতি সুজিত দাস ও ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ফরাক্কার হোসেনপুর, পার সুজাপুর ও কুলিদিয়ার এলাকা পরিদর্শনে যান। তাঁদের দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তোলে। এপ্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, “এই এলাকার মানুষ প্রতিবছর ভাঙনের কবলে পড়ে বাড়ি-ঘর-জমি হারান। আমরা এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তার জন্য যা যা করনীয় তা করব। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করব।”
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে অশান্তি অব্যাহত, পাঁচিল ভাঙার বিরোধিতা করায় পদ্মশ্রী প্রাপকের মূর্তিতে কালি]
The post গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়া মুর্শিদাবাদের বহু পরিবার, পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সাংসদ খগেন মুর্মু appeared first on Sangbad Pratidin.