শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণী বধূকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের অভিযোগ উঠল ননদাই -সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ননদাই স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC leader) বলে খবর। বুধবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল পঞ্চায়েতের নসিরহাট এলাকার ঘটনা। খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার তরুণীর শ্বশুরবাড়ি ভাঙচুর করে উন্মত্ত জনতা। অভিযুক্ত শাশুড়ি ও ননদাই বেধড়ক মারধরও করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জের মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এদিকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। শেষপর্যন্ত চাপের মুখে মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি অমিত ঋষিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তরা পলাতক। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নিতাই বৈশ্যের দাবি, “ধৃত অমিত ঋষি তৃণমূলের ভোটার, কিন্তু বুথ সভাপতির কোন রেকর্ড নেই।”
[আরও পড়ুন : অবশেষে স্বস্তি, নিউ নর্মালে আগামী সপ্তাহ থেকেই বঙ্গে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন]
নির্যাতিতা বধূর মা বুলি দাসের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করত শাশুড়ি ও স্বামী। বুধবার রাতে বাড়িতে মদের আসর বসে ছিল। সেখানে আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয় অমিত। প্রতিবাদ করায় মেয়েকে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করে খুন করে দড়িতে ঝুলিয়ে দেয় শাশুড়ি, ননদ ও ননদাই।”
জানা গিয়েছে, ধৃত অমিত ঋষি স্থানীয় নসিরহাট বুথের তৃণমূল সভাপতি। মৃতার মা জামাই, শাশুড়ি এবং ননদ ও ননদাই বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত স্বামী উজ্জ্বল সরকার এবং শাশুড়ি হিমা সরকার ও ননদ চম্পা সরকার পলাতক। বিক্ষোভের মুখ পড়ে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়।”