মলয় কুণ্ডু ও সুব্রত বিশ্বাস: অবশেষে আমজনতার দাবিপূরণ। রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন (Local Train)। শুক্রবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। আগামী রবিবার থেকে মিলবে পরিষেবা। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। যাত্রীদের মানতে হবে কোভিডবিধি।
গত মে মাসে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করে। তার ফলে রাজ্যের তরফে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার অফিসযাত্রী। ক্ষুব্ধ হয়ে বহু জায়গাতেই অবরোধ-বিক্ষোভে শামিল হন বহু মানুষ। তা সত্ত্বেও বারবারই নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া যায়, করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কোনওভাবেই লোকাল ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। সেই সময় রাজ্যের তরফে বলা হয়, লোকাল ট্রেন চালু হলে আরও বাড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: T-20 বিশ্বকাপের মাঝে খাস কলকাতায় অনলাইন বেটিংচক্র, হোটেল থেকে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত]
করোনা আবহে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ‘স্টাফ স্পেশ্যাল’ (Staff Special) চালু করা হয়। তবে বর্তমানে চলছে ‘পেট্রল স্পেশ্যাল’। হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনে করোনা পরিস্থিতির আগে চলত ১৩১৫টি ট্রেন। বর্তমানে ৯০০টি ট্রেন চলে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে চলত ১৯৭টি। এখন চলে মাত্র ৪৬টি। তার মধ্যে সবকটিই চলছে সাঁতরাগাছি পর্যন্ত। হাওড়ায় না যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন সকলেই। এদিকে, খড়গপুর শাখায় চলে ১৫টি ট্রেন। তার মধ্যে মাত্র একটি ট্রেন হাওড়া এবং বাকি সবকটিই যাত্রা শেষ করছে সাঁতরাগাছিতে। তার ফলে সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। তাই লোকাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তে খুশি সাধারণ মানুষ।
তবে নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ যাত্রী লোকাল ট্রেন চড়তে পারবেন। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেল আধিকারিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, একটি ট্রেনে ৩ হাজারের বেশি মানুষ চড়তে পারেন। একটি রেকে চড়তে পারেন চারশোরও বেশি যাত্রী। সেক্ষেত্রে লোকাল ট্রেন চালু হলে কীভাবে ৫০ শতাংশ যাত্রীর হিসাব খতিয়ে দেখা হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেল রাজ্যের তরফে কোনও চিঠি পায়নি।