শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: নির্ধারিত সময় তিন ঘণ্টা পরেও দেখা নেই সরকারি আধিকারিকের। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না পরিষেবা। এমনই নানা অভিযোগে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প তুমুল বিক্ষোভ স্থানীয়দের। ভাঙা হল টেবিল, চেয়ার। ছেঁড়া হল পোস্টার। কার্যত রণক্ষেত্র উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি পঞ্চায়েতের দিঘলবস্তি প্রাথমিক স্কুল চত্বর।
করিমুদ্দিন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির দাবি তিনি একসময় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছিলেন। তাঁর দাবি, ওই কার্ডের সুবিধাভোগী হিসাবে রোকেয়া বেগমের পরিবর্তে নাম লেখা হয়েছে ‘ইসলামপুর’। প্রায় ছ’মাস ধরে একের পর এক সরকারি দপ্তরে ঘুরেও লাভ হয়নি কিছুই। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সংশোধন হয়নি। বিমলা সিংহ নামে আরেক মহিলার দাবিও একইরকম। তিনিও কোনও পরিষেবা পাননি বলেই দাবি। আবার কারও কারও অভিযোগ, সকাল সাড়ে ১০টায় ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে কাজ শুরুর কথা ছিল। তবে দুপুর দেড়টা বেজে গেলেও দেখা মেলেনি সরকারি আধিকারিকের।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতকে গুড়-বাতাসা দিতে তিহাড় জেলে CPM! ব্যাপারটা কী?]
তারই প্রতিবাদে আগডিমটিখন্তি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির নেতৃত্বে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ক্যাম্পে চলে ভাঙচুর। আকবর আলির দাবি, সরকার পরিষেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প চালু করেছে। তা সত্ত্বেও সরকারি কর্মীরা পরিষেবা দিচ্ছেন না। যদিও আশারাম সোরেন নামে এক সরকারি কর্মী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় বিডিও রঞ্জনকুমার দাসের বক্তব্যও একইরকম। এদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, “যদি তৃণমূল নেতারা জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দেখুন ভিডিও: