বিশেষ সংবাদদাতা: আবার রাজনীতিতে মিমি? এই তো সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতিতে অনীহাও প্রকাশ করেছিলেন যাদবপুরের পদত্যাগী তৃণমূল সাংসদ। অভিনেত্রীর মন্তব্যে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। এদিকে বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবার দেখাও করেন মিমি। এবার তৃণমূল সূত্রে খবর, ফের তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) প্রার্থী হচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। কিন্তু কোথা থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি বলেই শোনা যাচ্ছে। সূত্রের দাবি, হুগলি বা জেলার কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে অভিনেত্রীকে। কিন্তু সেই কেন্দ্র কোনওভাবেই যাদবপুর নয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিনেত্রী। নবান্ন থেকে বেরিয়েই জানিয়েছিলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না। সাংসদ খাতের হিসেব নিয়ে বিরোধী শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা নানা সমালোচনা করতেই কাজের খতিয়ান দেখিয়ে পালটা নিন্দুকদের চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন মিমি চক্রবর্তী। তবে এবার সম্ভবত রাজনীতি থেকে বাণপ্রস্থ ঘোষণা করেও প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন টলিউড নায়িকা।
[আরও পড়ুন: ‘দুধের ডিপোতেও কাজ করেছি’, ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে জীবন সংগ্রামের কথা শোনালেন মমতা]
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এই কয়েক বছরে মোট ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন সংসদীয় এলাকার জন্য। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে? তার হিসেবও দিয়েছেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। আসন্ন লোকসভাতেও মিমি চক্রবর্তীর উপর ভরসা রাখছেন ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এবার কলকাতার কেন্দ্র নয়, মিমির স্টারডমকে হাতিয়ার করেই জেলার আসন জেতার লক্ষ্যে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের কোনও হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন মিমি চক্রবর্তী।