সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলে ভোটের ঠিক একদিন আগে আরও বেকায়দায় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরকে কার্যত নিশানা করে পশ্চিমবঙ্গ বাউড়ি সমাজ উন্নয়ন সমিতি জানিয়ে দিয়েছে, দলিত, সংবিধান বিরোধীদের একটি ভোট নয়। সম্প্রতি তাঁরা পুরুলিয়া শহরে একটি মিছিল করে। এর পরই তাঁদের ওই বার্তা। ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বাবলু বাউরি বলেন, " যারা দলিত, সংবিধান বিরোধী আমরা তাদের সঙ্গে নেই।"
এদিকে, ভূমিজ থেকে সাঁওতাল জনজাতিও আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল বিজেপিকে একটিও ভোট নয়। ভূমিজ সম্প্রদায়ের মানুষজন রীতিমতো পুরুলিয়া শহরে মিছিল করে জানায়, বিজেপিকে ভোট দেবেন না। একই কথা বলেছে জাতিসত্তার আন্দোলনে তথা আদিবাসী তালিকাভুক্তের দাবিতে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামা কুড়মি জনজাতিও। যদিও এই বিষয়টি মানতে চায়নি পুরুলিয়া জেলা বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা জানান, "এইসবই শাসকদলের মস্তিষ্কপ্রসূত। তাদের চক্রান্ত। সমস্ত প্রান্তিক জনজাতি আমাদের পক্ষে ছিলেন এবং আছেন। ভোটের ফলাফলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।"
[আরও পড়ুন: ‘আমার জন্ম জৈবিক প্রক্রিয়ায় নয়’, মোদির মন্তব্যে মমতার পালটা, ‘আমাদের তো মা-বাবা আছে’]
পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে ভূমিজ সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে ভিড় না হওয়ায় শুভেন্দু অধিকারী প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত থাকলেও বেলপাহাড়ি থেকে চলে যান। এই সময়ই ওই জনজাতিকে নিয়ে একটি সামাজিক সংগঠন শুভেন্দু অধিকারীকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সামাজিক বিষয়কে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। ঠিক এরপরেই পুরুলিয়া শহরে একটি সংগঠন পথে নেমে বিজেপিদের একটি ভোট নয় বলে জানান। ওই দিনই রঘুনাথপুরে আদিবাসীদের একটি সংগঠন মিছিল করে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিল। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা এই কেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " ১৯-র ভোটে বিভিন্ন জনজাতির মানুষজন ভুল করে বিজেপির দিকে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এবার অন্য খেলা হবে। "