সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন সবচেয়ে বড় বিরোধী দল থেকেই। দুদফার ভোট বাকি থাকতেই জোট শরিকদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিল কংগ্রেস। জয়রাম রমেশ বলে দিলেন, ২০০৪ সালে যেমন ভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয়েছিল, সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী বাছাই হবে। ইন্ডিয়া (INDIA) শিবিরের সবচেয়ে বড় দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বিজেপি (BJP) দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন তুলছে, বিরোধীদের এই বরযাত্রীতে ‘দুলহা’টা কে? প্রধানমন্ত্রী খোঁচা দিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোটে এত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার যে ওরা ক্ষমতায় এলে প্রতিছর একজন করে প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই প্রশ্নের জবাবে জয়রামের বক্তব্য, "ইন্ডিয়া জোট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে। আমরা জিতে আসার পর সাংসদরা বৈঠক করবেন। সবচেয়ে বড় দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হবেন।"
[আরও পড়ুন: ‘কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’, ৪০০ আসনের টার্গেট পূরণে পুরনো স্লোগান মনে করালেন হিমন্ত]
কংগ্রেসের (Congress) প্রচার বিভাগের প্রধান ইঙ্গিতবাহী ভাবে বললেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনটা হবে ২০০৪ সালের মতো। সেবার গণতান্ত্রিকভাবে ৪ দিনের মধ্যে ডঃ মনোমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এবারও ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরই প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এবার চারদিন সময়ও লাগবে না। তাঁর স্পষ্ট কথা, বিরোধী শিবিরের যে দল সবচেয়ে বড়, তাঁদের নেতাই হবেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ইন্দিরা-রাজীবদের সিস্টেম দলিত-আদিবাসী বিরোধী, স্বীকার করলেন রাহুলই! তোপ মোদির]
বস্তুত কংগ্রেস ইন্ডিয়া (INDIA) জোট শরিকদের বুঝিয়ে দিল ইন্ডিয়া জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন তাঁদের নেতাই। কারণ বিরোধী শিবিরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসনে লড়ছে কংগ্রেস। হাত শিবির প্রায় সাড়ে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েছে, শরিকদের কেউ ধারেকাছেও নেই। আর ইন্ডিয়া জোটকে ক্ষমতায় ফিরতে হলে কংগ্রেসকেই সবচেয়ে বেশি আসন পেতে হবে। অর্থাৎ জয়রাম রমেশ এখনই ঘুরিয়ে জোট সঙ্গীদের বলে দিলেন, জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কংগ্রেস থেকেই।