সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য ৪০০। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে রাজ্যে রাজ্য জোটসঙ্গী ‘শিকার’ করছে বিজেপি। একদিন আগেই ওড়িশার শাসকদল বিজেডির সঙ্গে রফা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। এবার দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশেও জোটসঙ্গী জুটিয়ে ফেললেন অমিত শাহরা। অন্তত এমনটাই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি।
সূত্রের খবর, প্রায় ৬ বছর বাদে এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু (Chandrababu Naidu)। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে দিল্লিতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে তাঁর। শুক্রবার ফের আরেক রাউন্ড আলোচনা হবে। তারপরই সরকারি ঘোষণার সম্ভাবনা। অন্ধ্রে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হবে। দুই ক্ষেত্রেই যৌথভাবে লড়বে বিজেপি এবং নায়ডুর টিডিপি। ওই জোটে রয়েছে অভিনেতা পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টিও।
[আরও পড়ুন: উদয়পুরে বিয়েতে গিয়ে অঘটন! অসুস্থ ধর্মেন্দ্র, বাবা কেমন আছেন? জানালেন ববি দেওল]
প্রাথমিকভাবে বিজেপি এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর যা আলোচনা হয়েছে, তাতে অন্ধ্রে লোকসভায় বিজেপিকে বেশ কয়েকটি আসন ছাড়তে পারে টিডিপি। তুলনায় বিধানসভায় কম আসনে লড়বে গেরুয়া শিবির। রফা অনুযায়ী অন্ধ্রের ২৫ লোকসভা আসনের মধ্যে ৪-৬টি আসনে লড়বে বিজেপি। পবন কল্যাণের জনসেনা লড়বে ৩ আসনে। বাকি আসনগুলিতে লড়বে টিডিপি। আর ১৭৫ আসনের বিধানসভায় সিংভাগ আসনে লড়বে জনসেনা এবং টিডিপি। বিজেপি ১০-১৫টি আসন পেতে পারে।
[আরও পড়ুন: বিতর্ক পেরিয়েও সফল ‘অ্যানিম্যাল’, তিরুপতিতে কেশ দান করে নেড়া হলেন পরিচালক সন্দীপ ভাঙ্গা]
একটা সময় চন্দ্রবাবু ছিলেন এনডিএ-এর অন্যতম স্থপতি এবং ২০১৮ পর্যন্ত জোটের আহ্বায়ক। তিনি রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে আগ্রহী। সম্প্রতি দুর্নীতির মামলায় তাঁকে জেলে ঢোকায় জগন সরকার। জামিনে মুক্তি পেতে চন্দ্রবাবু প্রথমেই গিয়েছিলেন অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা হলেও কথা হয়নি। রামমন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা বেশ কিছু ছবি টুইট করেন। সূত্রের খবর, তেলেগু নেতা অনেক দিন ধরেই অমিত শাহ, জেপি নাড্ডাদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোটে ছিলেন চন্দ্রবাবু। কিন্তু অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে ২০১৮ সালে এনডিএ ছাড়ে টিডিপি। ২০১৯-এর লোকসভা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে একাই লড়াই করে। সেই ভোটে জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কাছে হেরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি হারান চন্দ্রবাবু। সে বার ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্ধ্রে গিয়ে চন্দ্রবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেছিলেন। তার পর থেকে ঘোষিতভাবে বিজেপির সঙ্গে জোট ছিল না টিডিপির।