সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের প্রার্থী শেষ মুহূর্তে শিবির বদলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন সরে গিয়েছেন লড়াই থেকে। ফলে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর নিয়ে মহা ফাঁপরে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস। ওই কেন্দ্রে হাত চিহ্নে কোনও প্রার্থী নেই। প্রার্থী নেই ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিকদেরও। কিন্তু ময়দান ছাড়তে নারাজ হাত শিবির। নতুন প্রচারে প্রার্থীহীন কেন্দ্রের লড়াই-ই জমিয়ে দিল হাত শিবির।
মার্চ মাসের শেষদিকে ইন্দোর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে অক্ষয় বামের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কংগ্রেসের প্রতীকে মনোনয়ন জমা দেন অক্ষয়। তাঁর মনোনয়ন সঠিকভাবে গৃহীত হয়। ইন্দোর কেন্দ্রে অক্ষয়ের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলেন বিজেপির (BJP) শঙ্কর লালওয়ানি। বর্তমানে তিনিই ওই কেন্দ্রের সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ভোটের চূড়ান্ত হার প্রকাশ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক কমিশনকে, আর্জি সুপ্রিম কোর্টে]
কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন গিয়ে হঠাৎ নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন কংগ্রেস প্রার্থী। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে যোগ দেন বিজেপিতে। কংগ্রেস (Congress) শেষ মুহূর্তে বিকল্প একজন প্রার্থীকে নিজেদের প্রতীক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। ফলে ইন্দোরে হাত চিহ্নে কোনও প্রার্থী নেই। তবে ওই কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জিতেও যাননি। কারণ ইন্দোরে নির্দল ও ছোট দল মিলিয়ে আরও ১৩ জন প্রার্থী আছে।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে ‘কয়লা মাফিয়া’! তালিকা প্রকাশ করে তোপ তৃণমূলের]
হাত শিবির চাইলে ওই ১৩ জনের মধ্যে যে কোনও একজনকে বিজেপির বিরুদ্ধে সমর্থনের রাস্তায় হাঁটতে পারত। যেমনটা মধ্যপ্রদেশেরই খাজুরাহতে করেছে হাত শিবির। ওই কেন্দ্রে জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফরওয়ার্ড ব্লককে সমর্থন করছে হাত শিবির। কিন্তু ইন্দোরের ক্ষেত্রে তেমন কিছু না করে বিজেপিকে প্যাঁচে ফেলার ভালো কৌশল নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল। সেখানে কংগ্রেসের নেতারা প্রচার করছেন, এবার ইন্দোরে ভোট দিন নোটাকে। যদি নোটা রেকর্ড সংখ্যক ভোট পায়, তাহলে সেটা বিজেপির জন্য লজ্জাজনক হবে। দলের প্রদেশ সভাপতি জিতু পাটওয়ারি, বর্ষীয়ান নেতা সজ্জন সিং ওই কেন্দ্রের ভোটারদের নোটাতে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। মজা হল, কংগ্রেস প্রার্থী লড়াইয়ে না থাকায় প্রচারে সেভাবে জোর দিচ্ছিল না বিজেপি। এবার তাঁরাও বিপদ বুঝে প্রচারে নেমে পড়েছে।