সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’দশক বাদে বদলে যাচ্ছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ওয়ার রুমের ঠিকানা। দিল্লির ১৫, গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোড থেকে সোনিয়া, রাহুলদের ওয়ার রুম হচ্ছে লুটিয়েন্স দিল্লির খান মার্কেটের কাছে একটি বাংলোতে। কংগ্রেসের দাবি, এতদিন বাদে দলের গোপন মন্ত্রণালয়ের ঠিকানা যে বদলাতে হচ্ছে, সেটার নেপথ্যেও রয়েছে বিজেপির (BJP) হাত।
২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ‘ওয়ার রুম’ ছিল ৯৯, সাউথ অ্যাভিনিউ। সেবার ভোটে জিতে আসার পর ১৫, গুরুদ্বার রাকাবগঞ্জ রোডে নতুন করে ওয়ার রুম তৈরি করেন সোনিয়ারা। ওই বাংলো থেকেই ২০০৯ সালের লোকসভা ভোট পরিচালিত হয়। তাতে বিরাট সাফল্যও আসে হাত শিবিরে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের ব্যর্থতার সাক্ষীও কংগ্রেসের (Congress) ওই ওয়াররুম।
[আরও পড়ুন: ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করে অপপ্রচার! খাড়গেকে ক্ষমা চাইতে বললেন ‘অপমানিত’ গড়করি]
২০২৪ লোকসভার (Lok Sabha 2024) আগে রাহুল গান্ধীরা নতুন ওয়ার রুমে সরে যাচ্ছেন। এবার ল্যুটেনস দিল্লির খান মার্কেটে নতুন বাংলো নেওয়া হচ্ছে। আসলে রাকাবগঞ্জ রোডের যে বাংলোতে এতদিন কংগ্রেস ভোটের কাজ চালাত, সেই সরকারি বাংলোটি এতদিন কোনও না কোনও কংগ্রেস সাংসদের নামে বরাদ্দ থাকত। শেষবার সেটা বরাদ্দ করা হয় এরাজ্য থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের নামে। প্রদীপের রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরোনোর পর কংগ্রেস চেয়েছিল, দলেরই অন্য কোনও সাংসদকে ওই ভবনটি দেওয়া হোক। কিন্তু রাজ্যসভার আবাসন কমিটি সেই অনুরোধ রাখেনি। তড়িঘড়ি বাংলোটি বিজেপির সমর্থনে হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভায় জিতে আসা নির্দল সাংসদ কার্তিকেয় শর্মার নামে বরাদ্দ করা হয়।
[আরও পড়ুন: এলেন, ইডলি খেলেন, বোম রেখে চলে গেলেন! বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ]
ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাংলোটি ছাড়তে হয় কংগ্রেসকে। যা নিয়ে মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যের অভিযোগও তুলেছে হাত শিবির। ওই বাড়ির বিকল্প হিসাবে একাধিক বাংলোর কথা ভাবা হয়েছিল। শেষে বেছে নেওয়া হয় খান মার্কেটের এই বাংলোকেই। মজার কথা হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে একটা সময় ‘খান মার্কেট গ্যাং’ কথাটি খুব শোনা যেত। বিরোধীদের মূলত খান মার্কেট গ্যাং বলেই সম্বোধন করতেন প্রধানমন্ত্রী এবার কংগ্রেস আক্ষরিক অর্থেই ওই খান মার্কেট গ্যাংয়ে পরিণত হতে চলেছে।