সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে গোটা দেশ কুড়িয়ে সাকুল্যে জুটেছিল ৩ আসন। এবার অন্তত সেই হাল হবে না। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা রিপোর্টের ভিত্তিতে আশার আলো সিপিএমের অন্দরে। সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাটরা আশাবাদী এবার অন্তত দুই অঙ্কে পৌঁছবে আসন সংখ্যা।
লালপার্টির সবচেয়ে বড় আশার জায়গা কেরল। সেখানে গতবার মাত্র একটি আসন জুটেছিল। রাহুল গান্ধীর কেরলে প্রার্থী হওয়া এবং সবরীমালা ইস্যুতে ভর করে বামেদের কার্যত গুঁড়িয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। দলের রিপোর্ট বলছে, সেই কেরলে এবার অন্তত ৬ থেকে ১০ আসন জুটতে পারে। রাজ্য কমিটি দাবি করেছে, কেরলে বামেদের ঝুলিতে আসবে ৮-১৫ আসন। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দক্ষিণের রাজ্য থেকে ৬-৮ আসন আশা করছে।
[আরও পড়ুন: পর পর দুই বাড়িতে চুরি, জানলার গ্রিল ভেঙে বিপুল নগদ ও প্রায় ২০ ভরি গয়না নিয়ে চম্পট]
দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে কেরলের ২০টি আসনেই। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে ভোট মিটে গিয়েছে তামিলনাড়ু, রাজস্থান, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে। এই তিন রাজ্য থেকেও ভালো রিপোর্ট পেয়েছেন ইয়েচুরিরা। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনের হাত ধরে দুটি আসন আসতে পারে। আবার রাজস্থানেও শিকার আসনটি কংগ্রেসের সমর্থনে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী সিপিএম। ত্রিপুরা পশ্চিম আসনটিতে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে আছে সিপিএম, সেখানেও সিপিএমকে সমর্থন করছে কংগ্রেস। তবে এ রাজ্য থেকে এখনও কোনও আসন পাওয়ার রিপোর্ট যায়নি। বাংলায় এবার শূন্যের গেরো কাটানোই লক্ষ্য সিপিএমের। তাতে ইয়েচুরিদের সেরা বাজি মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা।
[আরও পড়ুন: ভাষা বিভ্রাটের জের, ৩৪৭ দিন জেলবন্দি কোলের সন্তান-সহ দুই মহিলা]
এ বছর সীতারাম ইয়েচুরিরা (Sitharam Yechuri) পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম আসনে লড়ছেন। এবার গোটা দেশে সিপিএম লড়ছে গোটা পঞ্চাশেক আসনে। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনেও সিপিএম ৯৩টি আসনে লড়েছিল। সেবার মাত্র ৯টি আসনে জিতেছিল তারা। গত লোকসভা নির্বাচনেও সিপিএম ৬৯টি আসনে ভোটে লড়েছিল। সেবার তাঁরা মাত্র ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল। এখন দেখার এবার সেটা কতটা বাড়াতে পারে বাম শিবির। যাতে অন্তত জাতীয় দলের তকমাটা বাঁচিয়ে রাখা যায়।