অরিজিৎ গুপ্ত ও অর্ক দে: ভোটের মুখে সিপিএম কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাওড়ার সাঁকরাইলের ধূলাগড়ের মল্লিকপাড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক শিবির।
রবিবার সকাল থেকে প্রচার শুরু করে হাওড়া সদরের সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। এর পর শিবপুরে তাঁর মিছিল ছিল। সাঁকরাইলের ধূলাগড়ের মল্লিকপাড়ায় মিছিল শেষেই বিপত্তি। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁর মিছিলে চড়াও হয়। সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছুক্ষণের জন্য প্রায় রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় ধূলাগড়ে। হামলার খবর পেয়ে শিবপুর থেকে ফের ধূলাগড়ে দৌড়ে আসেন সিপিএম প্রার্থী। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ফেল করায় মনখারাপ, CA হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই আত্মঘাতী ছাত্রী]
এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, "আমাদের কর্মীদের গায়ে কেউ আঁচড় দিলে আমরা বুঝে নেব। এভাবে মারধর করে, ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না।" এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেই জানান খোদ সিপিএম প্রার্থী। কলকাতা হাই কোর্টে গিয়ে হাওড়া সদরের বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করার দাবি জানাবেন বলেও হুঁশিয়ারি তাঁর। যদিও হামলার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। অরূপ রায় বলেন, "হামলা হয়েছে কিনা, তা-ই জানিনা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা কেউ জড়িত থাকলে, নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে গোটা এলাকা। যাতে নতুন করে আর কোনও অশান্তির পরিবেশ তৈরি না হয়, তাই ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
এদিকে, বর্ধমানেও ভোটপ্রচারের মাঝে তুমুল উত্তেজনা। রবিবার বর্ধমানের পালসিট হাটতলায় তৃণমূলের মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির উপর। শাসক শিবিরের দাবি, কীর্তি আজাদের সমর্থনে লাগানো দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেয় গেরুয়া শিবির। তার বিরোধিতা করায় হামলা চালানো হয়। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষের সমর্থনে প্রচার করার সময় তাঁদের উপর হামলা হয়েছে বলেই দাবি পদ্মশিবিরের।