সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক্সিট পোলের ফল উলটে দেশের লোকসভা নির্বাচনে টানটান লড়াই। ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে, এনডিএ (NDA) জোট হিসাবে এগিয়ে থাকলেও বিজেপি একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। আবার ইন্ডিয়া জোট সার্বিকভাবে প্রায় ২৩০ আসনের কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ ভাঙাতে পারলে ফলাফল উলটে যেতে পারে, আশা দেখছে ইন্ডিয়া শিবির। ভাঙানোর চেষ্টাও নাকি শুরু হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোট। মহারাষ্ট্রের প্রবীণ নেতা শরদ পওয়ার নাকি ইতিমধ্যেই ফোনে কথা বলেছেন নীতীশের সঙ্গে। যদিও সবটাই জল্পনা। প্রকাশ্যে এই ফোনালাপের কথা অস্বীকার করেছেন পওয়ার। তাঁর স্পষ্ট কথা, "এখনও কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করিনি।" তবে দ্রুত্ ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রামমন্দির বা পিওকে দখলের ‘গ্যারান্টি’, তবু কেন অস্তমিত মোদি-সূর্য?]
আসলে শুধু পওয়ার (Sharad Pawar) নন, এই মুহূর্তে গোটা দেশের নজরই রয়েছে বিহারে। নীতীশ এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। কারণ বিহারের রাজনীতিতে 'পল্টু'কুমার নামে পরিচিত নীতীশের জেডিইউ ১২টি আসনে এগিয়ে। এই মুহূর্তের যা ফলাফল তাতে বিজেপি আটকে যেতে পারে আড়াইশো আসনের নিচে। সেক্ষেত্রে ২৭২ পৌঁছতে গেলে বা বাধাহীনভাবে সরকার চালাতে হলে নীতীশের সমর্থন ভীষণ জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল, নীতীশ আদৌ ছোট শরিক হয়ে বিজেপির সঙ্গে থাকবেন তো? নাকি বিরোধীরা ভালো কোনও অফার দিলে শিবির বদল করবেন? এ প্রশ্নের উপর কিন্তু আগামী দিনের জাতীয় রাজনীতির অনেক প্রশ্নের জবাব নির্ভর করছে।
[আরও পড়ুন: ভাঙল না মিথ, গণনার মাঝেই হার স্বীকার বিজেপি প্রার্থীর, রায়বরেলিতে জয় গান্ধীদের তৃতীয় প্রজন্মের]
আপাতত ইন্ডিয়া (INDIA) শিবিরের কাজ নিজেদের ঐক্যবদ্ধ রাখা। কারণ ইন্ডিয়া শরিকরা যেমন বিরোধী শিবিরে থাবা বসানোর চেষ্টা করছে, পালটা চেষ্টা কিন্তু বিজেপির তরফেও হবে। ইতিমধ্যেই আশানুরূপ ফল না হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই জেপি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, বিএল সন্তোষরা জরুরি বৈঠকে বসে পড়েছেন।