সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেতা কি কম পড়িয়াছে? দাগী অপরাধীদের প্রার্থী করা কেন? জনতার দরবারে গিয়ে এবার ব্যাখ্যা দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। ভোট ঘোষণার দিন অভিনব উদ্যোগের কথা জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
শনিবার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) দিনক্ষণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গোটা প্রক্রিয়া চলবে ৪৭ দিন ধরে। ভোটগণনা ৪ জুন। এদিন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভোটে ‘মাসল পাওয়ারে’র ব্যবহার নিয়ে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ভোটে যতদূর সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে। কোনও রাজ্যেই কোনও চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সোশাল মিডিয়া, টেলিভিশনের মাধ্যমেও নজর রাখা হবে। ফেক নিউজ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[আরও পডু়ন: এবার অনলাইনে ছুটির দরখাস্ত, সরকারি কর্মীদের জন্য বদলে গেল নিয়ম]
এই সুষ্ঠু ভোটের সময় অনেকক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ান এলাকার বাহুবলি নেতারা। সেই বাহুবলিদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবার রাজনৈতিক দলগুলিকে দুর্বিপাকে ফেলার কৌশল নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণার দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানালেন, কেন অপরাধের ‘রেকর্ড’ থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী হিসাবে বাছাই করা হল দাগী নেতাকে, জনতার দরবারে গিয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে ৪ আসনে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি, কটি আসন পাবে তৃণমূল? ভবিষ্যৎবাণী কুণালের]
কোনও প্রার্থীর কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা, সেটা এমনিতেই নির্বাচনী হলফনামায় জানাতে হয় প্রার্থীদের। সেই সঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েও সেকথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হয় প্রার্থীদের। কমিশন এবার জানাল, একবার নয়, অন্তত ৩ বার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থীদের জানাতে হবে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। কী কী রেকর্ড রয়েছে, কী কী অভিযোগ রয়েছে সব জানাতে হবে বিস্তারিতভাবে। এখানেই শেষ নয়, রাজনৈতিক দলগুলিকেও আলাদা করে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে কেন ওই কেন্দ্রে অপরাধের রেকর্ড থাকা নেতাকে প্রার্থী করা হল? অন্য কাউকে প্রার্থী করা গেল না কেন? কমিশনের এই অভিনব উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলির দায়বদ্ধতা কিছুটা হলেও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।