সুদীপ রায়চৌধুরী: ভোটগণনার কাজে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে কোনও সরকারি কর্মী বা স্কুল শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী প্রত্যেক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য বলেই জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে রবীন দেব-শমীক লাহিড়ী-সহ সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল দেখা করে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেন। ভোটগণনায় কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে সরকারি কর্মী বা স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বামেরা। কাউন্টিং এজেন্ট হলেন যেকোনও দলের প্রার্থীর প্রতিনিধি। যেকোনও গণনাকেন্দ্রে সরকারি কর্মীদের নিযুক্ত করা হলে, তাঁরা গণনায় প্রভাব ফেলতে পারেন বলেই অভিযোগ বিরোধী। সে কারণেই তাঁদের ভোট গণনার কাজ থেকে বিরত রাখার দাবি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ওয়াটার থিওরি’তে বাংলাদেশের সাংসদের হত্যাকাণ্ড! ঢাকা ফিরে জানালেন গোয়েন্দা প্রধান]
কমিশন জানিয়েছে, স্থায়ী বা চুক্তিভিক্তিক কোনও সরকারি কর্মীকে কাউন্টিং এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না। রাজ্যের কোনও সরকারি কিংবা সরকারপোষিত স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের ভোট গণনার কাজে লাগানো যাবে না। কমিশনের নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিরোধীরা।