শম্পালী মৌলিক: সিনেমা, রিয়্যালিটি শোর পর এবার রাজনীতির মাঠ ‘দিদি নম্বর ১’। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হতেই, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় টক অফ টাউন। হুগলি কেন্দ্রে রচনার বিপরীতে বিজেপির তাবড় তারকা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। যে লকেটের সঙ্গে এক সময় একফ্রেমে ধরা দিয়েছেন রচনা, সেই লকেটই এবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী। দিদি নম্বর ওয়ানে দর্শকদের মন জিতলেও, রাজনীতিতে নবাগতা রচনা ভোটযুদ্ধ জিততে পারবেন তো?
সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রচনা স্পষ্ট জানালেন, ”দেখুন সবকিছুর মধ্যেই হারজিত রয়েছে। এই পেশায় তো আরও বেশি রয়েছে। গ্রহণ করতে হবে সেটাকে। যে তুমি জিততেও পারো, হারতেও পারো। এক্ষেত্রে জনগণই আমার ভগবান। তাঁরা যা চাইবেন সেটা মাথা পেতে নিতে হবে। সেরকম কিছু হারানোর নেই। আর যদি কিছু পাই মানুষের পাশে থাকব। আর যদি না পাই, নিজে যে মূলস্রোতে ছিলাম সেখানেই থাকব।”
গ্ল্যামার জগত থেকে রাজনীতিতে পা রাখলে নাকি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান না তারকা প্রার্থীরা। এমন অভিযোগ ভুরি ভুরি। রচনা কি পারবেন, এই প্রচলিত ভাবনাকে পালটাতে? পারবেন হুগলির মানুষের সমস্যার সমাধান করতে?
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন কিরণকে পাশে নিয়েই জন্মদিন পালন আমির খানের, খাওয়ালেন কেকও, দেখুন ভিডিও]
রচনার সোজা জবাব, ”আগে দেখতে হবে হুগলির মানুষরা কীসে বঞ্চিত। তাঁদের কী প্রয়োজন, তাঁদের কী অভিযোগ রয়েছে। তা আগে জানতে হবে।”
রচনা আরও বলেন, ” আসলে এক-এক জেলায় এক এক সমস্যা। সেখানে গিয়ে, কথা বলে বুঝতে হবে। এক দেড় মাসে আমি সমস্যা সমাধান করতে পারব না। আমাকে সেই সময়, সুযোগ দিতে হবে। এবং তার পরে পাঁচটা বছর সময় লাগবে।”
নবাগতা হলেও রচনার-এর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। তিনি যে রাজনীতির মাঠে একেবারে তৈরি হয়েই নেমেছেন, তা স্পষ্ট তাঁর বক্তব্যে। এবার সময় বলবে, ‘দিদি নম্বর ১’, রাজনীতির খেলায় থাকবেন কতটা এগিয়ে!
[আরও পড়ুন: ‘৪৫ মাস পার, মোদিজি এবার CBI-কে বলুন…’, লোকসভার আগে সুশান্ত ইস্যু তুললেন দিদি]