সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ (Lok Sabha 2024) তো বটেই, ২০২৯ সালেও দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদিই (Narendra Modi)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘোষণা করে দিলেন খোদ অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই সাক্ষাৎকারে দ্ব্যার্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, আরও ১০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই। শাহী ঘোষণায় প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই যে কঠোর বয়সনীতি চালু করেছেন, সেটা কি তিনি নিজেই ভঙ্গ করবেন?
ওই সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ (Amit Shah) দাবি করেছেন, “দেশের রাজনীতি আর জাতপাত নির্ভর নয়। এখন উন্নয়নের রাজনীতি চলছে। সাফল্যের রাজনীতিতে মানুষ কাজ দেখে ভোট দেয়। আর কাজের ভিত্তিতেই আগামী ১০ বছর অন্তত বিজেপির ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত। আর প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির থাকাটাও নিশ্চিত।” শাহের বক্তব্য, “মোদিই দেশের রাজনীতিকে জাতপাতের ঊর্ধ্বে তুলে সাফল্যকেন্দ্রিক রাজনীতির আবহ তৈরি করেছেন। এখন মানুষ কাজ করার যোগ্যতা দেখেই ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেয়।”
[আরও পড়ুন: পদ্মে এবার গান্ধী ‘কাঁটা’? বিজেপি টিকিট দেবে বরুণকে? তুঙ্গে জল্পনা]
শাহকে এর পর আগামী ১০ বছরে ভারতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাতে বিজেপির চাণক্য স্পষ্ট করে বলে দেন,”যেহেতু শুধু আগামী ১০ বছরের কথা জানতে চাওয়া হচ্ছে। তাতে আমি বলে দিতে পারি। আগামী ১০ বছর শুধু মোদিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।”
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে ঘরের কাজ করতে বললেই ‘নিষ্ঠুর’ স্বামী? কী বলল দিল্লি হাই কোর্ট?]
শাহী ঘোষণার পর প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে বিজেপির (BJP) অন্দরেই। কারণ মোদি নিজেই বিজেপির অন্দরে কঠোরভাবে বয়সনীতি চালু করেছেন। সেই নীতি অনুযায়ী ৭৩-৭৫ বছর বয়স হলেই নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে যেতে হয় গেরুয়া নেতাদের। সেই নীতির গেরোয় ‘অনিচ্ছা অবসরে’ চলে যেতে হয়েছে লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর যোশীদের মতো বহু সিনিয়র নেতাকে। মোদির নিজের বয়স এখন ৭৩। অর্থাৎ আগামী ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে হলে তাঁকে ৮৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে হয়।তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয়, আগামী ১০ বছর বিজেপিই ক্ষমতায় থাকবে, তাহলেও মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা তো বিজেপির অবসর নীতির জন্যই আটকে যাওয়ার কথা। নাকি নিজের বেলায় সেই অবসর নীতি মানবেন না প্রধানমন্ত্রী? প্রশ্ন উঠছে।